চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, নগর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা না পেয়ে দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন, খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের অভুক্ত রেখে আটরা শিল্পাঞ্চল ও খালিশপুর শ্রমিকরা ভুখা মিছিল করেছে। আজ জীবন বাঁচাতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
নগর সভাপতি আরও বলেন ৪র্থ দিনের মত শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরণ অনশনে থাকলেও আজ (শুক্রবার) পর্যন্ত সরকার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতভম্ব হয়েছি। অনেকেই কাফনের কাপড় পরে এখানে বসেছেন। শ্রমিকদের বাঁচা মরার সংগ্রামে এই কর্মসূচিতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অনশন ক্যাম্পে চলছে স্যালাইন। এরপরও টনক নড়ছে না কারও।
আরো শ্রমিকদের জীবনহানী হওয়ার আগে শ্রমিকদের ১১ দফা মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে সরকারকে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আটরা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ণ জুট মিলস্ এর সামনে ইস্টার্ণ ও আলিম শ্রমিকদের অনশন চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী থানার বিএনপি’র সভাপতি মীর কায়সেদ আলী, নগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এসএ রহমান বাবুল, থানা বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক ইনামুল হাসান ডায়মন্ড, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম শুকুর, সেলিম সরদার, মিনা মুরাদ হোসেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুস সালাম, ফকির রবিউল ইসলাম, মোল্লা আইউব হোসেন, হারুনুর রশিদ, মুন্সি আব্দুর রব, সৈয়দ শাহাজান আলী, শেখ হাসিবুল হাসান, ইমদাদুল হক, মোল্লা সোহাগ হোসেন, মোঃ আরিফ হোসেন, ফকরুল ইসলাম, খয়বার হোসেন, হালিম শেখ, আতাউর, শহিদুল, শাকির আক্তার, আনোয়ার হোসেন, ফরহাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, শরিফুল ইসলাম, লোকমান, মোক্তার বিশ্বাস, আলী আহম্মেদ, খলিলুর রহমান, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোল্লা সোলায়মান, কামরুল ইসলাম, পলাশ মোল্লা, জাকারিয়া মাহমুদ পিটু, রফিকুল ইসলাম সুজা, আজমল হোসেন, মোসলেম শেখ, ওবায়দুর রহমান চয়ন, মোঃ জনি, বিল্লাল হোসেন, আলামিন হাওলাদার, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ ইলিয়াজ, জিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মীম প্রমুখ।