খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ দেশেব্যাপী দ্বিতীয় দফার টানা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফলভাবে পালন করায় সকল পরিবহন মালিক, শ্রমিক-কর্মচারি ও খুলনাবাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ায় যারা মিথ্যা গায়েবি মামলার শিকার ও গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদেরকে জাতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যোদ্ধা হিসেবের গন্য করবে। গণতন্ত্রের বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানিয়ে গনতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত মহানগর ও জেলায় ১৮মামলায় প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারা করা হয়েছে। যারপর নাই অত্যাচার-কষ্ট সহ্য করে ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছেন বিএনপি তাদের ত্যাগের কথা কখনোই ভুলে যাবে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় শীঘ্রই হবে। নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, সাময়িক কষ্ট সহ্য করে অতীতের মতো আগামী দিনেও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে খুলনাবাসী বিএনপির পাশে থাকবেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড, শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমূখ।
গ্রেফতার ৬ জন: সোমবার নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ দলের আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোদা বক্স কোরাইশি কালু, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল কবির, খানজাহান আলী থানা যুবদলের শাহিদুজ্জামান জুম্মান, ১৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল কবির, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রাজু ও বাবু।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় টানা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে।