সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
অবৈধ গ্যাস ও পেট্রোল ব্যবসা রোধে ব্যবস্থা নেই বিস্ফোরক পরিদফতরের | চ্যানেল খুলনা

অবৈধ গ্যাস ও পেট্রোল ব্যবসা রোধে ব্যবস্থা নেই বিস্ফোরক পরিদফতরের

খুলনায় মুদি ও ফোন ফ্যাক্সের দোকানেও অবাধে চলা অবৈধ গ্যাস ও পেট্রোলের ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নগরী। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ ব্যবসায়ী যত্রতত্র ব্যবসা চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। কর্মকর্তাদের দাবি, জনবল সংকটের কারণে তারা এসব দেখভাল করতে পারছেন না।
খুলনা বিস্ফোরক পরিদফতর সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগে লাইসেন্সধারী পেট্রোলিয়াম ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৫০। আর গ্যাস ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৭৬০টি। এর বাইরে অবৈধভাবে গ্যাস ও পেট্রোলের ব্যবসা করছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ব্যবসায়ী। বিস্ফোরক পরিদফতরে জনবল সংকটের কারণে তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এ দফতরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শন কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্প, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা বিক্রেতাদের লাইসেন্স দেয়া হয় এখান থেকে। খুলনায় অনুমোদিত জনবলের মধ্যে বিস্ফোরক পরিদর্শকের পদ একটি। এ পদটি শূন্য। একজন সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক দুই বিভাগের ১৬ জেলার দায়িত্ব পালন করছেন ১০ বছর ধরে।
তিনি বলেন, জনবল বৃদ্ধির জন্য বহুবার ওপরে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি একজন এমএলএসএস দেয়া হয়েছে, যা’ আছে তা’ নিয়ে কাজ করছি। বিশাল এ এরিয়ার কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো যানবাহন নেই। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। দোকানের সামনে রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। স্থানীয় সচেতন লোকজন জানান, এভাবে অবৈধভাবে যত্রতত্র গ্যাসের ব্যবসার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নগরী। গত বছর জানুয়ারিতে নগরীর টুটপাড়া কবরখানা এলাকার একটি অবৈধ খুচরা পেট্রোল বিক্রেতার দোকানে আগুন লাগে। এর আগে নভেম্বরে বয়রার রায়েরমহল এলাকার একটি মুদি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, হয়রানি ও বিড়ম্বনার কারণে তারা লাইসেন্স করতে চান না। জেলার কয়রা উপজেলার গ্যাস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়রা থেকে খুলনা গিয়ে লাইসেন্স করানো কঠিন। এরপর সেখানে গিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে জটিলতা তৈরি করেন কর্মকর্তারা। এটা নেই, সেটা নেই বলে হয়রানি করেন। এরপর নকশা তৈরির জন্য খরচ করতে হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এসব কারণে বাধ্য হয়ে লাইসেন্স না করেই ব্যবসা করি।’
খুলনা এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ তোবারেক হোসেন তপু বলেন, ‘যত্রতত্র ব্যবসায়ীরা অভিজ্ঞ না। সিলিন্ডার দেওয়ার সময় লিকেজ আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখে না। লাইসেন্সপ্রাপ্তরা এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা কওে তবেই সিলিন্ডার হস্তান্তর করে। ফলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ফলে বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

https://channelkhulna.tv/

সাহিত্য ও সাংস্কৃতি আরও সংবাদ

ক্ষমা করো

দুই যুগ পূর্তিতে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব’

খুলনায় ‘তবুও ফু‌টে‌ছে অঞ্জন’ গ্রন্থের প্রকাশনা

চিতলমারীতে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

চিতলমারীতে সাহিত্য আড্ডায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণীজন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।