চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমহানগরীতে চলাচলকারী রিকশা থেকে ব্যাটারী ও মোটর অপসারণের ১৫ দিন বর্ধিত করে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ, ১ অক্টোবর থেকে ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ খালসমূহ অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রাখা, মাদকমুক্ত মহানগরী গড়ে তুলতে ৩১টি ওয়ার্ডে মাদক বিরোধী সমাবেশের আয়োজন, ইজিবাইকের পিছনে নম্বর প্লেট স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর লিপিবদ্ধকরণ, অবৈধ ব্যাটারী চার্জিং পয়েন্টসমূহ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদ্যাপনে সার্বিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জরুরি বিশেষ সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভাপতির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে খুলনাকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, নগরীর অভ্যন্তরীণ খালসমূহে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রাখা, খাল খনন, খালের উভয় পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ ময়ূর নদীর পাড়ে সৌন্দর্য্যমন্ডিত বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সিটি মেয়র ব্যাটারী চালিত রিকশাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বাহন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, খুলনার ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাটারী ও মোটর বিহীন পায়ে চালিত রিকশা চলাচল করবে।
সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ) মোঃ এহসান শাহ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না, মোঃ আলী আকবর টিপ ও মেমরী সুফিয়া রহমান শুনুসহ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।সভায় বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া সভায় উত্থাপিত বিষয়ে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, মাদক সমাজ কাঠামো এবং পারিবারিক শান্তি ধ্বংস করে করে দেয়। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, খুলনাকে মাদকমুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি রিকশা থেকে ব্যাটারী ও মোটর অপসারণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং নগরীর যানজট নিরসন এবং যান চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় কতিপয় সুপারিশ তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সুশাসন প্রতিষ্ঠার সামগ্রিক চিত্র হিসেবে উল্লেখ করে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দেন। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করলে শিগগিরই খুলনা মহানগরীকে যানজট, মাদক ও জলাবদ্ধতামুক্ত শহর হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।