নিজ সক্ষমতায় আকাশসীমা রক্ষায় সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসাথে দেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে নিজেদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিমান বাহিনী সদস্যদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১১ ও ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সরকার প্রধান এ কথা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ হওয়ার পরও স্বাধীনতার পর দেশের অবকাঠামোসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। বলেন, করোনায় বাধা এলেও সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুফল পাবে দেশের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় পতাকা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এ পতাকা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেকোনো ইউনিটের জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়।’
পতাকা অর্জন করা দুই স্কোয়াড্রনের সদস্যদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কর্মদক্ষতা দেশসেবা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেয়েছেন, তার মর্যাদা রক্ষার জন্য এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যখন দায়িত্ব পালন করেন, আমি মনে করি, আপনারা সব সময় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন।’
একদিন দেশেই যুদ্ধবিমান তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণা এবং দেশের বিমানবাহিনী ও বেসামরিক বিমানকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, যেটা লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠা হবে। ইতিমধ্যে তার কাজ আমরা শুরু করেছি।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা অ্যারোনটিক্যাল সেন্টারও নির্মাণ করেছি। আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে বাংলাদেশেই আমরা যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারব। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা এবং আমাদের আকাশসীমা রক্ষা আমরা নিজেরাও যেন করতে পারি, সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’
করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু স্থবির করে দিলেও অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। করোনার টিকা সংগ্রহ করে তা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।