বাহরাইনের সামরিক নৌযান কাতারের জলসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ উত্থাপন করেছে কাতার।
২৫ নভেম্বর বাহরাইনের একাধিক সামরিক নৌযান জলসীমা লঙ্ঘন করে কাতারের সার্বভৌম অংশে প্রবেশ করে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘে অভিযোগে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে বাহরাইন এ ধরনের জলসীমা লঙ্ঘন না করে তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানায় কাতার।
১ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্থায়ী প্রতিনিধি জেরি ম্যাটজেলার কাছে বাহরাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি শেখ আলিয়া আহমেদ বিন সাইফ আল-থানি
অভিযোগে বাহরাইনের বিপজ্জনক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে কাতার।
এতে বলা হয়, অনুমতি ছাড়া বাহরাইনের সামরিক যান নিজেদের সমুদ্র অঞ্চলে প্রবেশ কাতারের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি।
জলসীমা ছাড়াও বাহরাইন গত ৯ ডিসেম্বর কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কাছাকাছি চলে আসে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাহরাইনের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন।
কাতার জাতিসংঘকে জানায়, বাহরাইন এমন পরিস্থিতির তৈরির চেষ্টা করছে যাতে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
উত্তেজনা তৈরি করতে পারে এবং এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া বার্তায় ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে দুই দেশের মধ্যকার সমুদ্রসীমা ও ভূখণ্ডগত প্রশ্নের রুলিংয়ের বিষয়টির রেফারেন্স দেয় কাতার।
দোহা সেই রুলিং মেনে চলছে এবং আঞ্চলিক সীমান্তে নিজেদের অধিকার ভোগ করছে জানিয়ে প্রতিপক্ষকেও এটি মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় কাতারের বার্তায়।
এছাড়া জাতিসংঘ সনদের অনুচ্ছেদ ৩৪ ও ৩৫ উল্লেখ করে সে মোতাবেক বাহরাইনের সীমানা লঙ্ঘন রোধ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
কাতার ভালো প্রতিবেশী হিসাবে আচরণ করে বলেও বিশ্ব সংস্থাকে মনে করিয়ে দেন কাতারি প্রতিনিধি।