হাসপাতালের ঘন-অন্ধকারে আলো হয়ে রোগীর পাশে থাকেন নার্স। চরম দুঃসময়ে এগিয়ে আসেন মমতার পরশ নিয়ে।
নার্সিং শুধু একটি পেশা নয়, বরং সেবার এক মানবিক কর্মযজ্ঞ। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এতো প্রসারের পরও নার্সদের সইতে হয় বঞ্চনা; কাউকে কাউকে শুনতে হয় কটুকথাও। তবে তাতে দমে যান না তারা। দিনরাত খেটে চলেন সুস্থতার অপেক্ষায় থাকা মানুষটির নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে। করোনার এই অতিমারীতে কয়েকগুণ বেড়েছে তাদের কর্মতৎপরতা।
করোনা মহামারিতে নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন রোগীদের সেবায়। নিজে তো বটেই, ভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকছে তাদের পরিবারও। চ্যালেঞ্জ নিয়ে জাহানারার মতো অনেকেই আছেন, যারা হাসপাতালকেই বানিয়েছেন নিজের ঘর।
একজন নার্স সেবার মানসিকতায় প্রশিক্ষিত মানবিক মানুষ। তাকে অতিমানবিক ধৈর্য্য নিয়ে, হাসি মুখে বনে যেতে হয় রোগীর আপনজন। তিনি হয়ে ওঠে অসুস্থের পরম নির্ভর।
কিন্তু এই মানবিক সেবিকাদেরও হতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিস্থিতির শিকার। তাদেরও রয়েছে উন্নত প্রশিক্ষণের অভাব আর বৈষম্যের ধারাপাত।
১২ মে লেডি উইথ ল্যাম্প- ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন। তার সেবাকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিনেই পালন হয় নার্স দিবস। তবে কোনো দিবসের নয়, নার্স-রোগির মায়া ও ভালোবাসার সম্পর্ক প্রতিদিনের।