পদ্মা সেতু চালুর আগেই আধুনিকায়নের ছোঁয়া পেয়েছে খুলনা। বাড়ছে শিল্পায়ন। বিনিয়োগকারীরা পদ্মা সেতু এবং মোংলা বন্দরকে মাথায় রেখে ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছেন খুলনাঞ্চলে। ইতোমধ্যে গ্যাস প্লান্ট, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আধুনিক হোটেলসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি খুলনা নগরীর আধুনিক রেলস্টেশনের অদূরেই আধুনিক মানের শপিং কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় টিম জায়গা পরিদর্শন এবং প্রকল্প নিয়ে একটি বৈঠকও করেছে খুলনায়।
নগরীর মধ্যে এমন শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে নগরীর বিপণিবিতান কেন্দ্রের (নিক্সন মার্কেট) চেহারা। জানা যায়, রেলওয়ের ৬ একর ২৫ শতক জমি নেওয়া হচ্ছে। এই জমিতে নির্মাণ করা হবে কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, কমার্শিয়াল স্পেস, রেলের কোয়ার্টার।
রেলের একটি সূত্র জানায়, ‘ডেভেলপমেন্ট অব শপিং কমপ্লেক্স কাম গেস্ট হাউজ অন পিপিপি বেসিস অব বাংলাদেশ রেলওয়ে’ নামক প্রকল্পের আওতায় রেলের নিজস্ব জমিতেই আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হবে। রেলের টিটি কলোনি, নিউ কলোনি এলাকাজুড়েই হবে এই প্রকল্প। রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশের পাওয়ার হাউজ মোড় এলাকা থেকে হাসপাতাল রোড হয়ে নিক্সন মার্কেটের মসজিদ পর্যন্ত রেলওয়ের নিজস্ব জমি আওতাভুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
খুলনায় পরিদর্শনে আসা টিমের একটি সূত্র জানায়, এটা বাস্তবায়ন হলে খুলনা সিটিতে কমার্শিয়াল ইমপোর্টার বাড়বে, কমার্শিয়াল বিল্ডিং হওয়ার পর খুলনায় লিভিং স্ট্যান্ডার্ড আপগ্রেড হবে, পার্কিং ফ্যাসিটিলি এবং টয়লেট ফ্যাসিলিটি ভালো করার মাধ্যমে শপিং কমপ্লেক্স হলে বেচাকেনা বাড়বে। যেহেতু কমার্শিয়াল এবং শপিং স্পেস পাশাপাশি হবে তাই এটা অবশ্যই খুলনার মানুষের জন্য বাড়তি কিছু দিতে পারবে। বড় বিষয় হলো রেলওয়ের আয় বাড়বে। যারা ব্যবসা করছেন তাদেরও উন্নতমানের শপিং কমপ্লেক্সে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সূত্রটি জানায়, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালে শপিং কমপ্লেক্সের নকশাসহ বিভিন্ন নকশা তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে এটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। খুব দ্রুতই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। পরিদর্শনে আসা টিম আশাবাদী আগামী ৪ মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে নগরীর ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে। শপিং কমপ্লেক্সসহ কমার্শিয়াল স্পেস তৈরি হলে অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটা বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।
সূত্র- যুগান্তর
1.2KShare