ভাস্কর্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার সভাপতি ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুফতি রুহুল আমীন।
তিনি বলেছেন, ‘ভাস্কর্য এবং মূর্তি একই জিনিস। ইসলামি শরিয়ত এগুলোর অনুমোদন করে না। দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ এ বিষয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীকে শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় দক্ষিণবঙ্গের আট শতাধিক মাদ্রাসার মুহতামিম-প্রতিনিধি, ইমাম-খতিবদের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের আলেম-উলামা সংবিধান এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হোক এটা কখনোই আমরা চাই না। কিন্তু কিছু নাম-বেনামের ভুইফোঁড় সংগঠন অদৃশ্য কারো উস্কানিতে দেশের আলেম-উলামাদের শানে বেয়াদবিমূলক আচরণ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করছে।
অনতিবিলম্বে তাদের এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
সভায় মুফতি উসামা আমীন বলেন, ভাস্কর্যসহ সব শরিয়তবিরোধী বিষয়ে দেশের আলেম-উলামা ঐক্যবদ্ধ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষকে সচেতন করি। দেশের শীর্ষ আলেমরা ভাস্কর্যের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা দক্ষিণবঙ্গের আলেম-উলামা সেভাবে কাজ করব।
মুফতি মোহাম্মাদ তাসনীম ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, ফরিদপুরের বাহিরদিয়া মাদ্রাসার মাওলানা আকরাম আলী, সাতক্ষীরার মাওলানা অজিউর রহমান, রাজৈর মাদারীপুরের মুফতি রেজাউল ইসলাম, গোপালগঞ্জের মুফতি মুঈনুদ্দিন, মুফতি হাফিজুর রহমান, ঢাকার মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ, বাগেরহাটের মাওলানা আশিকুর রহমান, খুলনার মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা কাবিরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা মুদ্দাসসির প্রমূখ।