খবর বিজ্ঞপ্তি: খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের এক কলঙ্কিত দিন। সেদিন আওয়ামী মহাজোট সরকার সকল বিরোধী দলের দাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে রাখে। ১৫৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি কোন প্রার্থীই ছিল না। জনগণের দাবিকে পদদলিত করে তারা একতরফা নির্বাচন করেন। সেই কলঙ্কিত নির্বাচনে ভোটার’রা অংশগ্রহণ করেনি।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ৩ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী মঞ্জু আরও বলেন, দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে কোনভাবেই অনুষ্ঠিত না হয়, সেজন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে। সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ একদলীয় নির্বাচন করার লক্ষ্যেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছেন। এমনকি সরকারের গঠিত পার্লামেন্টারী কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুকুলে মতামত প্রদান করলেও প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে তাঁর ইচ্ছাপূরণের দিকে এগিয়ে যান। এরপর শেখ হাসিনা ‘ডকট্রিন অব ফোর্স’ নীতির ওপর তাঁর অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে থাকেন। অবৈধ সরকার যৌথ বাহিনীসহ দলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা হিটলারের স্ট্রমট্রুপার বা ইয়ুথ বাহিনীর ন্যায় সারাদেশকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং আওয়ামী লীগ একসাথে চলতে পারে না। বর্তমানে স্বৈরতন্ত্র এক বিভৎস রুপ নিয়েছে। জনগনের কারো কোন নিরাপত্তা নেই। ঘর থেকে বের হয়ে আবার ফিরে যেতে পারবে কি না তা অনিশ্চিত। বাংলাদেশে এক ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মুশাররফ হোসেন, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, রেহানা ঈসা, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, খায়রুল ইসলাম জনি, নাজমুল হুদা সাগর, আবু সাইদ শেখ, মোল্লা কবির হোসেন, জাবীর আলীসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানা।