চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ আগামী তিন বছরের জন্য পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম তাকে অভিনন্দন জানান। এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও সহকারী প্রেস সচিব মুহাম্মদ আশরাফ সিদ্দিকী বিটু উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয় আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। সম্মেলনের শেষ দিন দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে।
তীব্র শীতের কারণে এদিন দলীয় সভাপতির নির্দেশনায় কাউন্সিল অধিবেশনের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়। নতুন কমিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা বিকালে হওয়ার কথা থাকলেও তা সেরে ফেলা হয় দুপুরেই। রেওয়াজ অনুযায়ী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করলে মঞ্চে আসে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে এ কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সাইদুর রহমান।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু সভাপতি পদে আবারও শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন দেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য।
অন্য কোনো নামের প্রস্তাব না থাকায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শেখ হাসিনাকে টানা নবমবারের মত সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষায়, তিন যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোনা ‘বিকল্প নেই’। ফলে সভাপতি পদে যে কোনো পরিবর্তন আসছে না তা আগেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। আলোচনা ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।
নির্বাচন কমিশনের সামনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তাতে সমর্থন দেন।
এই পদের জন্যও অন্য কোনো নামের প্রস্তাব আসেনি। ফলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন।