চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে দুই দালাল, দু’জন আনসার সদস্য, অফিসের উচ্চমান সহকারী ও নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযান চালানো হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফিরোজ শিকদার ও মিলটন নামের দুই দালালকে দুই দিনের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান খান। দণ্ডিত ফিরোজ শিকদার ও মিলটনের বাড়ি নগরীর ছোট বয়রা এলাকার স্বর্ণালী কলোনিতে। আনসার সদস্য ফরমান সরদার ও রবিউল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী হোসনে আরা খাতুন এবং নৈশ প্রহরী আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে দুদক। এছাড়া বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ করেন দুদকের অভিযান পরিচালনা দলের সদস্যরা।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তির অভিযোগ করেন কয়েকজন সেবাগ্রহীতা। এ অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা পায় খুলনা অফিস। সোমবার সকালে সেবা প্রার্থী সেজে পাসপোর্ট অফিসে আসেন দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে দু’জন দালাল এবং অফিসের চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
দুদক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, দালাল মিলটন ও ফিরোজকে আটকের পর তাঁরা অপরাধ স্বীকার করেন। তাঁরা জানান, আনসার সদস্য ফরমান ও রবিউল ইসলামের মাধ্যমে উচ্চমান সহকারী হোসনে আরাকে ঘুষ দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে নেন। এ ক্ষেত্রে তিন হাজার ৪৫০ টাকার জায়গায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে নেয়া হয়। অভিযানের সময় নৈশ প্রহরী আজহারুল ইসলামের কাছ থেকে পাসপোর্টের ৬৩টি ডেলিভারি স্লিপ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে নম্বর নিয়ে দুদকের দল কয়েকজন সেবা প্রার্থীকে ফোন করে। তাঁরা জানান, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য তাঁরা সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।