চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে এ অভিযান শুরু করেছে। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) নবম দিনের অভিযানে বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙা হয়েছে। প্রশাসন কঠোরভাবেই এবারের উচ্ছেদ অভিযান মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজ নিরালা সবুজবাগ এলাকায় ১ টি সেমিপাকা ঘরের আংশিক, ১ টি দুই তলা ভবনের অংশ, ১ টি একতলা ভবনের অংশ ও ১ টি পাকা বাথরুম অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে।
আজকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, উচ্ছেদ কার্যক্রমে গঠিত ৪টি কমিটি ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালে জরিপ চালিয়ে ৪৬০ জন দখলদারের তালিকা করে। নদী ও খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ৩৮২টি।এর আগে ২০১৬ সালে ময়ূর নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে খুলনা সিটি করপোরেশন। কিন্তু তাতেও নদতীটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে খুলনা মহানগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু অভিযান শুরুর পরপরই ওই বছরের ১১ জুলাই দুর্বৃত্তদের গুলিতে উচ্ছেদ কার্যক্রমে সক্রিয় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথার নিহত হন। এর ফলে ওই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। ১০ বছর পর এবার ময়ূর নদী ও ২৬টি খালের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।