চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।এরমধ্যে এক হাজার ৪৭৬ কোটি চার লাখ টাকা যাবে সরকারি তহবিল থেকে আর বাকি তিন হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে বৈদেশিক সহায়তা থেকে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পের সাইক্লোন সেন্টারগুলো হবে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য। স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য স্থায়ী রিজারভার এবং মাল্টি পারপাস সেন্টার রুম নির্মাণ করতে হবে।
‘সৌদি আরবে চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চ্যান্সারিতে প্রবাসীরা যাতে ভদ্র, স্বস্তিদায়ক বসার জায়গা এবং পানিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পান, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া কাজ শেষ করতে অহেতুক বারবার যেন প্রতিনিধি দল বিদেশে যেতে না হয় সে দিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে বলেছেন তিনি।’
মন্ত্রী বলেন, অপচয় দুর্নীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর। কেননা, দুর্নীতি হলে তো তা ধরা যায়, কে কত টাকা খেয়ে ফেলেছেন। কিন্তু অপচয়ের ব্যয় তো নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া প্রকল্পে সবচেয়ে বড় অপচয় হচ্ছে সময়। তাই অপচয় রোধ করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রকল্পে জনবলসহ প্রক্রিয়াকরণ ও অর্থায়নের ধাপ যাতে কমানো যায় সেজন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করব।
বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদানাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।