গোলযোগের কারণে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ও ফলাফল স্থগিত রাখা একটি কেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি শনিবার। নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম যুগান্তরের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আর এ ভোট কেন্দ্রটি হচ্ছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থক ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি শনিবার কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে স্থগিত কেন্দ্রের ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হয়নি।
এ পৌরসভার ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে শহরের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের ওই পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থক ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ কারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দশনায় কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্থগিত কেন্দ্রটি বাদে ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র পারভেজ মিয়া ৪৩৮ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
বেসরকারি তথ্যানুযায়ী বর্তমান মেয়র পারভেজ মিয়া ২০ হাজার ৯২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাজী ইসরাইল মিঞা পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৮২ ভোট।
স্থগিত ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ১৮৫২ জন। এর ফলে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের হিসাব ওই কেন্দ্রের ফলাফলের ওপর ঝুলে আছে।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (হাতপাখা) এক হাজার ৭২৩ ভোট, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল গনি ঢালী লিমন (মোবাইল ফোন) ৩৬৪ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী মো. স্বপন মিয়া (আম) ১৫১ ভোট পেয়েছেন।
২৭টি কেন্দ্রে মোট ৪৪ হাজার ২৯১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ৬৯টি ভোট বাতিল হয়েছে এবং বাকি ৪৩ হাজার ৫৯৮ ভোট বৈধ হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৬২.৩১।
তবে স্থগিত ঘোষিত ওই কেন্দ্রের ভোটারদের বাগে নিতে প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থী মরিয়া হয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।