এক সপ্তাহ পিছিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকার। ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) ডিসি সম্মেলন হবে। নতুন তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত চিঠি রোববার (২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দু’বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডিসি সম্মেলন। প্রথমে আগামী ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি ডিসি সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠানের কারণে তা পেছানো হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ১৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ থেকে ১৮ জুলাই জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়েছে। এরপর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দুই বছর (২০২০ ও ২০২১) জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়নি।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। করোনার কারণে এবার নিয়মের ব্যত্যয় হলো। ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা বৈঠক করেন।
ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন, একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা; রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং একটি সমাপনী অনুষ্ঠান থাকে।
কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন। সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যা নিয়ে প্রস্তাব দেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অধিবেশনগুলো হয় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।