র্যাবকে ধ্বংস করার পর আওয়ামী লীগ সরকার এবার পুলিশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার ( দুপুরে ২০ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, র্যাবের সে সকল কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদেরকে আবার এই সরকার পুলিশে নিয়ে এসেছে। তারা এখন পুলিশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। র্যাবের ইমেজকে সম্পন্ন ক্ষুণ্ন করে এখন পুলিশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। বর্তমান পুলিশকে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়। পুলিশের ন্যূনতম মর্যাদা যেটুকু আছে সেটুকু ক্ষুণ্ন করার জন্য বিতর্কিত লোকদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে।
বিএনপির শাসনামলে বিভিন্ন বাহিনীর চৌকস সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব। মাদকবিরোধী অভিযান, জঙ্গিবাদ দমনে র্যাব সাফল্য দাবি করলেও দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব কার্যক্রমে র্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
রিজভী বলেন, বলেন, সরকার র্যাবের ভাবমূর্তি শেষ করে দিয়েছে। বিএনপির আমলে খালেদা জিয়া র্যাব গঠন করেছিলেন দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য। এই র্যাবকে কখনো রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। আজকে র্যাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতাবিরোধী বেআইনি সংগঠন হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আজ আমাদের সামাজিক অবস্থা এতো ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে কারো কোনো নিরাপত্তা নাই। কেউ স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার মধ্যে জীবন-যাপন করতে পারে না। যেখানে গণতন্ত্র নাই জবাবদিহিতা নাই সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আজ যদি দেশে গণতন্ত্র ,ভোটার অধিকার থাকতো তাহলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকতো। আর সেই নেত্রীকে চিকিৎসা না দিয়ে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। তার মুক্তি তো দূরে থাক।
জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে গঠনমূলক রাজনীতি। বিএনপি যেমন বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়েছে। তেমনি মানব সেবার জন্য কাজ করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জাতিকে গঠন করার জন্য একের পর এক কর্মসূচি দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান হালখাতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। গ্রামের মানুষ যাতে চিকিৎসা পায় তার জন্য পল্লী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছিলেন। হাজার হাজার পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করেছিলেন।