চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধন করে সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে। বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স এর শিক্ষকরা এ মানববন্ধন করেন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম, সাতক্ষীরা জেলা শাখা।বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম’ এর সাতক্ষীরার জেলা শাখার আহবায়ক মো. আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. আমিনুর রহমান, প্রভাষক সুমনা পারভীন, গোলাম মোস্তফা, শিরিনা পারভীন, আবদুল হাকিম, প্রমুখ।
প্রভাষক মিহির কুমার মন্ডলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক শিশুবর, লিপিকা রাণী, নাজমা বেগম, রউফিকানুর, আল মামুন, টুটুল, আমজাদ হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো পর্যন্ত সর্বমোট ৮৫৭টি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদান করা হচ্ছে। যার মধ্যে সরকারি কলেজে ২৯৯টি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজ ৩০২টি অবশিষ্ট বেসরকারি কলেজ রয়েছে মাত্র ২৫৬টি। এই ২৫৬টি বেসরকারি কলেজে প্রায় ৮লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। এসব বেসরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের কোনো কোনো কলেজে নমমাত্র ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। সেটাও অনেক কলেজে প্রতিমাসে দেয় না।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে সংশোধিত জনবল কাঠামোতে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। সে ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বেসরকারি কলেজে ক্লাসসহ সকল পরীক্ষা বর্জন করে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। বক্তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বারবার অনুরোধ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি থেকে বিভিন্ন সময়ে আমাদের এমপিও বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মতামত চাওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।