তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্য নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হওয়ায় আপাতত: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে শিথিলতা দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা ভোক্তা অধিকার কমিটির ও দ্রব্যমূল্য কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা’ ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। এরই মধ্যে বিক্রেতারা বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। তারা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্ধারিত মূল্যের থেকেও বেশি মূল্যে গ্যাস ক্রয়ের কাগজপত্র দেখিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের চিঠি চালাচালিও হয়েছে। ফলে এলপি গ্যাসের মূল্য পুননির্ধারিত সংক্রান্ত নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অভিযানে জরিমানার ক্ষেত্রে শিথিলতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ এই বিষয়টি জানার পরও জরিমানা করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিলে এই সংস্থা। ডিপো ও ডিলার পর্যায়ে দাম না কমিয়ে খুচরাপর্যায়ে মূল্য নির্ধারণে বিপাকে পড়েন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ডিলার পর্যায়ে তাদেরকে আরও বেশি মূল্যে এলপি সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে। সেই সব সিলিন্ডার এখনও অবিক্রিত রয়েছে। এখন ৮৪২ টাকা মূল্যে গ্যাস বিক্রি করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। একই সাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস বিক্রি না করায় তাদেরকেই উল্টো জরিমানা করা হচ্ছে। এ ভোগান্তি নিরসন দাবি করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।
তাদের এ বক্তব্যে সম্মতি জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের চিঠি চালাচালি চলছে। খুচরা পর্যায়ে মূল্য পুননির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযানে মূল্যের ব্যাপারে শিথিলতা থাকবে।