গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, একটা অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে সময়টা যাচ্ছে। এর মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন কামাল হোসেন। ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনের আসার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তিনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। অনুষ্ঠানের শেষাংশে তিনি মুঠোফোনে যুক্ত হন। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, এ দেশের জনগণ কখনো নিরাশ হয় না। পরিস্থিতি যত ভয়াবহই হোক, এর থেকে মুক্তি পেতে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, জনগণ সরকারকে ভয় পাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। এই ধরনের রাজনীতি আমরা করতে চাই না। জনগণকে সরকার ভয় করবে, এটা হতে হবে। মানুষের মধ্যে রাজনীতি, সরকারে যারা আছে তাদের প্রতি বিদ্বেষ, অবিশ্বাস আছে। এটা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা লাগে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের আস্থা অর্জন করাটা খুব কঠিন। তবে আস্থা হারানোটা খুব কঠিন না। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের অধিকার, ভোটাধিকার রক্ষা করা। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট-২ আসনের সাংসদ ও গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান বলেন, মোকাব্বির খান বলেন, মানুষের কাছে এই সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। কেবল ১০ থেকে ১৫ ভাগ মানুষ এই সরকারকে সমর্থন করে। আর বিরোধী দলও ব্যর্থ। তাদের ওপরও মানুষের আস্থা নেই। গণফোরাম সভাপতি ড. কামালের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে হবে। একমাত্র জাতীয় ঐক্যই পারে জনগণের সত্যিকার স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে।