সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। খুলনায় কঠোর তৎপরতার মধ্য দিয়ে চলছে লকডাউন। প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনও অনেকটা নিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে। কমেছে অযথা বাইরে ঘুরাঘুরির সংখ্যাও। কঠোর ভূমিকা পালন করছে পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও। বিধিনিষেধ না মানলে করা হচ্ছে মামলা ও জরিমানা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই রূপসা ঘাট এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। ট্রলার চলাচল ছিলো একেবারেই কম। ১২০টি ট্রলারের মধ্যে যাত্রী পারাপার করছে মাত্র ৪টি ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ জন যাত্রী পারাপার করছিলো। তবে ৪ তারিখের লকডাউনে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা আদায় করা হলেও গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে জনপ্রতি ১০টাকা ভাড়া আদায় করছে ট্রলার চালকরা। যে কারণে অনেক যাত্রীদের সাথে ট্রলার চালকদের বাকবিতন্ডাও হচ্ছে।
সকাল থেকেই রূপসা ট্রাফিক মোড়ে পুলিশের তৎপরতা ছিলো চোখে পরার মত। এলাকায় সাধারণ মানুষসহ ইজিবাইক ও রিক্সার চলাচল ছিলো একেবারেই কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দশটার পর থেকে প্রশাসনের তৎপরতা শিথিল হতে থাকে। এরপর কিছু ইজিবাইক ও রিক্সা এই মোড়ে চলাচল করতে দেখা যায়। এদিকে রূপসা বাস টার্মিনালের বাস চলাচল গত ৪ তারিখের লকডাউন ঘোষণার দু’একদিন পর থেকেই বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বেলা ১১ টায় নগরীর পিটিআই মোড়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও যাত্রীবাহি ইজিবাইক ও রিক্সার উপস্থিতি ছিল বেশ। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে হঠাৎ তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ, কয়েকটি ইজিবাইক ধরে থানায় নিয়ে যায়।
রূপসা বাজারের কাঁচামালের দু’একটি দোকান খোলা থাকলেও সেখানে গ্রাহক ছিল না। কয়েকজন দোকানদার তাদের মালামাল গোছানোর কাজ করছিলেন। বাজারের সব মুদি দোকান গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতাদের আনাগোনা ছিলো সীমিত।
এদিকে রূপসার মাছের বাজারের প্রতিটি দোকানই বন্ধ ছিলো। তবে বাজারের কাপড়ের দোকানগুলো বেচা কেনার জন্য একটা সার্টার খোলা রাখলেও প্রতিটি দোকান ছিলো ক্রেতাশুণ্য।
রাস্তার পাশের ফলের দোকানগুলো খোলা ছিলো। দু’একজন ক্রেতারা ফলের দোকানে কেনাকাটা করছে। ক্রেতার অভিযোগ ছিলো লকডাউন ও রমজানের কারণে ফলের দাম বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফল বিক্রেতা বলছিলেন, ফলের দাম আগের মতই আছে তবে আঙ্গুর ও তরমুজের সিজন শেষের দিকে থাকায় দাম একটু বেড়েছে।
রূপসা এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক স্পট হচ্ছে পাইকারী মৎস আড়ত। লকডাউনের কারণে এসকল পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
মঠবাড়িয়া ফিস এর কর্মচারী জুবায়ের জানালেন, সকাল ৬টা থেকেই আড়তে স্বাভাবিক নিয়মেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেচা-কেনা চলছে। তবে লকডাউনের কারণে আড়তে মাছ কম আসছে।