করোনা ভাইরাসে যেসব দেশের পরিস্থিতি বেশি নাজুক ইরান তাদের মধ্যে অন্যতম। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও এখনো দেশটিতে এ ভাইরাস সমান ভয়ংকর হয়ে আধিপত্য বজায় রেখেছে।
এরমধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে চলে এসেছে। বিশেষ করে অক্সফোর্ড এবং ফাইজারের টিকা নিয়েই কাড়াকাড়ি হচ্ছে বেশি। কিন্তু তাতে ইরানের বয়েই গেলো। করোনার পশ্চিমা ভ্যাকসিন যেন ইরানে ঢুকতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, খামেনি শুক্রবার বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের ওপর আমার বিশ্বাস নেই। একইসঙ্গে এসব ভ্যাকসিন যেন কোনোভাবেই দেশে ঢুকতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মোটেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্সের কাছ থেকে করোনা ভাইরাসে ভ্যাকসিন আমদানি করবো না। আমি তাদের বিশ্বাস করি না। ’
এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির কারণে ইরানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা দেশটির ভোগান্তি বাড়িয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এ নির্দেশ ট্রাম্পের নীতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ এর আগে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনার অর্থ শোধ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।
এদিকে গতমাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছিলেন, ‘ইরানের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায়’ সরকার করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং দেশের বাইরের ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করেছে।
২০১৯ সালের শেষদিকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে ইরানের এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৩৩ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।