চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে যাওয়া অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য এলাকার বিত্তবান ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন ত্রান কার্যক্রম শুরুই করেননি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘরবন্দি নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পৌছায়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্থানীয় একজন সাবেক সংসদ সদস্য কাউন্সিলর ফোরকানকে দিয়েছেন দুই লাখ টাকা। সিটি করপোরেশন থেকে পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। ত্রাণের কথা বলে চাঁদা তুলেছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। অথচ ফোরকান কাউন্সিলরের ত্রান বিতরণের কোনো উদ্যোগের খবরই এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
ত্রান বিতরণ না করার অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর ফোরাকান দাবি করেছেন, এ পর্যন্ত তিনি ১৫০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করেছেন। এর মধ্যে মাত্র ৫০০ প্যাকেট সিটি করপোরেশন দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে আমাদের কোনো ত্রাণ আসেনি। আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় ৫০০ প্যাকেটের একটা অ্যারেঞ্জ করেছে।
কাউন্সিলর ফোরকান জানান, খাবার বিতরণে কোনো সংগঠন বা কোনো ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেননি। তিনি বলেন, ধনাঢ্য ব্যক্তি যারা দিচ্ছেন তারা ব্যক্তিগতভাবেই দিচ্ছেন। কেউ কারো মাধ্যমে দিচ্ছেন না।
যদিও মোহাম্মদপুরের সাবেক এমপি বলেন, তিনি দুই লাখ টাকা কাউন্সিলরকে দিয়েছেন। এছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে পেয়েছেন সাড়ে লাখ লাখ টাকা। যা তার ব্যক্তিগত সহকারী নিশ্চিত করেছে।
কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, করোনায় অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরকে তারা চাঁদা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাও বলছেন, ফোরকান কাউন্সিলর ত্রাণের কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা তুলেছেন।
অসহায় মানুষদের সহায়তায় মোট কত টাকা সংগ্রহ করেছে আর কত টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছেন সেই হিসাব কে নেয় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এ কাউন্সিলরের কাছ থেকে!