আরিফুল হক চৌধুরীঃ “একা হলে হারি, আর একতাই পারি”। এই স্লোগানকে কাজে লাগিয়ে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কলারোয়ার বৃহত্তর সাংবাদিকদের সংগঠন কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাব। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কলারোয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। পরিবার নিয়ে কষ্টে আছে দরিদ্র নিম্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। এই সংকট মোকাবেলায় সরকার মানুষকে খাদ্যসহ অন্যান্ন সহায়তাও দিয়ে আসছে।
দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে দেড়মাসের বেশী সময় মানুষ ঘরবন্ধি। এ অবস্থায় বেশী কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। আত্মসম্মান বোধ ও লজ্জায় এসব পরিবারের সদস্যরা সাহায়তার জন্য কোথাও যেতে পারছেনা। পৌর সদরসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে খোজ খবর নিয়ে এসব পরিবারের মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা। রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। করোনা সংকটে তার নেতৃত্বে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাব অসহায় মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। গতকাল থেকে প্রতিদিন তালিকা অনুযায়ী অসহায় কর্মহীন ক্ষ্রদ্র ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীসহ অসহায় মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতনও করা হচ্ছে। বিলি করা হচ্ছে প্রচার পত্র। কলারোয়ার সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় এ খাদ্যসহায়তা প্রদানে সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করছেন ক্লাবের উপদেষ্টা এড. কাজী আব্দুল্লাহ-আল-হাবিব। রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিক কর্মকর্তাদের একত্রিত করে রমজান জুড়ে এ সাহায়তা চলমান রাখা হবে। এড. কাজী হাবিব আরো বলেন, সম্ভবত দেশের মধ্যে এই প্রথম, যে করোনা সংকটে কোন সাংবাদিক সংগঠন অসহায়দের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার নজির সৃষ্টি করলো। সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন সহায়তা পাননি এমন প্রকৃত মধ্যবিত্ত অসহায় ব্যক্তি নির্বাচন করেই এ খাদ্যসাহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তাকে সহায়তা করছেন ক্লাবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনি:সহ-সভাপতি এস.এম জাকির হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন(বাবলু), মোস্তাক আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম, মাও:আসাদুজ্জামান ফারুকী আরিফুল হক চৌধুরী, এস এম ফারুক,মোজাহিদুল ইসলামসহ ক্লাবের সকল সসদ্যরা। জানা গেছে, খাদ্যসহায়তা হিসাবে প্রতি প্যাকেটে চাল, ডাল, আটা, ডিটারজেন্ট পাওডার, সাবান, ভোজ্য তেল, চিড়া, চিনি, আলু অসহায়দের বাড়ি বাড়ি যেয়ে পৌঁছায় দেওয়া হচ্ছে।