কালিগঞ্জের আলোচিত বাবু হত্যার নেতৃত্বদানকারী নুরুলসহ আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জের বন্দকাটি গ্রামের মৃত আলী আকবর লস্করের পুত্র ফিরোজ হোসেন লস্কর। তিনি বলেন বন্দকাটি গ্রামের বাবু হত্যায় নেতৃত্বদানকারী একাধীক হত্যাসহ ডজন মামলার আসামী নুরুলসহ তার বাহিনীর সদস্যরা আজও অধরা। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতেদিনে এখনও দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে নুরুল ও অন্যান্য আসামীসহ হত্যার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা সিরাজুল মেম্বর ও বিএনপি নেতা দালাল জাহাঙ্গীর। হত্যার রাতেও নৈশভোজে অংশগ্রহন করে, নুরুল, আরিফ, জাহাঙ্গীর, সিরাজুল মেম্বর, ভঞ্জুর, ওহাবসহ সন্ত্রাসীরা। নুরুল বাহিনীর কারণে এলাকায় অবস্থাশালী ও ঘের ব্যবসায়ীরা আজ বড়ই অসহায়। তারা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ অসংখ্য মানুষের ক্ষতিসাধন করে আসছে। বাবু হত্যার আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ঘেরদখল, জমিদখল, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও মারপিটের অভিযোগ আছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন বাবু হত্যায় আটককৃত আরিফ ও সাবিনা খাতুনসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক। নির্মমভাবে তাকে নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা। পুলিশ অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে ঘটনার পরেরদিন থেকে অভিযান পরিচালিত করছেন। এলাকাবাসী তথা মামলার বাদী পুলিশের উপর খুশি। এখন আশংখা করছি যে, নুরুল সহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত আটক না করলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারি। ইতিপুর্বে নিরাপত্তা হীনতায় বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দীন ও ইউপি সদস্য খলিল মেম্বরসহ ১০/১২ জন থানায় জিডি করেন। বাবুকে নুরুল, আরিফ ও সাবিনাসহ আসামীরা রাতভর ব্যাপক নির্যতন করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে অন্যের ঘাঁড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালায়। তারই অংশ হিসাবে স্থানীয় খলিল মেম্বর ও আমাকে জড়িয় মিথ্যা সংবাদ অপ-প্রচার চালানো হচ্চে। আমি আজ এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমনকি আমাদেরকে হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতি করতে সম্পুর্ন পরিকল্পিতভাবে নুরুল ও আরিফের বোনের বসতঘরে তারা নিজেরাই রাতের আধারে (১২ জুলাই ২০২০ তারিখে) অগ্নী সংযোগ করে। নুরুল এদেশে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ভারতের বশিরহাটের বাড়িতে চলে যায়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেক মামলা আছে। ঘরজ্বালানো ঘটনায় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমার এবং আমার সাথে উপস্থিত সকলের বিরুদ্ধে ঘরজ্বালানো মামলা দায়েরের পরিকল্পনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আমরা নুরুল বাহিনীর অত্যাচারের হাত হতে রক্ষা পেতে এবং নতুন করে হত্যা সংঘটিত না করতে পারে সেজন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার পুর্বক দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য মাননীয় পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৯নং ওয়াডের গ্রাম পুলিশ নুর ইসলাম।