সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
কালিগঞ্জে শিক্ষক-কর্মচারিদের ১৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন | চ্যানেল খুলনা

কালিগঞ্জে শিক্ষক-কর্মচারিদের ১৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃকালিগঞ্জ কলেজ সরকারি করণের নাম করে শিক্ষক-কর্মচারিদের কাছ থেকে কৌশলে আদায়কৃত ১৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গত ৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল খুলনা’র পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ হারুণ অর-রশিদ ও সহকারি পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান সরেজমিন কলেজে এসে তদন্ত সম্পন্ন করেন।
জানা যায়, কালিগঞ্জ কলেজ সরকারিকরনের নাম করে শিক্ষক-কর্মচারিদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ২১ মার্চ কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক শেখ মোজাফ্ফর হোসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলেজ সরকারি করনের নাম করে শিক্ষক-কর্মচারিদের কাছ থেকে কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মিত্র তাপস কুমার, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) শাখার কম্পিউটার অপারেশন বিষয়ের প্রভাষক বেলাল সিদ্দিকসহ কয়েকজন শিক্ষক অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতি সর্বনিম্ম ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে ৮০/৯০ হাজার টাকা এবং কর্মচারিদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হারে সুকৌশলে আদায় করে।
অথচ ওই সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারিকরণের জন্য কোথাও কোন আর্থিক লেনদেন করা যাবে না মর্মে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা ছিলো যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম কলেজ সরকারিকরণের জন্য কাগজপত্র নিয়ে গত ১৫ সালের ৫মে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের দপ্তরে দরখাস্ত দাখিল করেন।
এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলামের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গত ৩১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন কলেজ সরকারিকরণের চিঠি এবং গত ২২ জুলাই কালিগঞ্জ কলেজ পরিদর্শনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে কাউছার নাসরীন, সিনিয়র সহকারী সচিব সাক্ষরিত চিঠি পাওয়া যায়। কিছুদিন পর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কলেজ পরিদর্শনের জন্য সরবরাহকৃত যাবতীয় কাগজপত্র অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কলেজে নিয়ে আসেন। ওই সময়ে অধ্যক্ষের এই সকল কার্যক্রমকে জাল ভূয়া ও বানোয়াট বলে বিএম শাখার শিক্ষক বেলাল সিদ্দিক তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এবং শিক্ষক-কর্মচারিদের বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে গত ১৬ সালের ৮ আগষ্ট এক সভায় কলেজ পরিচালনা পরিসদের মিটিংয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক বেলালকে শোকজ করা হয়। যা আজও নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় আছে। বেলাল সিদ্দিক ও মিত্র তাপস কুমার কয়েকজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারিদের নিকট থেকে কলেজ খুব শিঘ্রই ডিড অফ গিফট হবে এবং সবার আগে আলাদাভাবে সরকারিকরণ হবে এই বলে তারা একাধিকবার বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করতে থাকেন। কিন্তু তাদের দেয়া কোন তারিখ অনুযায়ী ডিড অফ গিফট হয়নি। এ সময় কিছু শিক্ষক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বেলাল সিদ্দিক গংদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে অক্ষমতার কথা বারবার জানালেও তাতে কর্ণপাত না করে বেলাল সিদ্দিক গং টাকা দিতে বাধ্য করে। বিভিন্ন ভূয়া খরচ দেখিয়ে দফায় দফায় শিক্ষক-কর্মচারিদের নিকট থেকে প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন শেখ মোজাফ্ফার হোসেন।

Your Promo BD

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

দৈনিক খুলনা টাইমস পত্রিকার ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ২ দিন পেছাল মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি

তিনটি আসনের মনোনয়ন কিনেছেন সাকিব আল হাসান

‘সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের ডোমেস্টিক ইস্যুতে ইনভলভ করে’

‘আমাকে নিয়েন না ভাই, আমার মা-ছেলে অসুস্থ’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।