চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঅবরুদ্ধ ভারত শাসিত জম্ম-কাশ্মির নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্ব নেতাদের তিনি কাশ্মির সংকটের সমাধান করতে বলেছেন। নইলে পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন ইমরান খান।স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন ইমরান।
কাশ্মীর সংকট ঘিরে একটি পরমাণু যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সতর্কতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।ইমরান খানের দাবি, তিনি চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘকে এই সতর্কবার্তা দেয়ার চেষ্টা করছেন যে, যদি আশু সমাধান না হয় তাহলে অবরুদ্ধ কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বিশ্ব।
একতরফা ও বিতর্কিত ভাবে জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দুই ভাগ করে গোটা বিশ্ববাসী থেকে কাশ্মিরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মোদির বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান। অবরুদ্ধ কাশ্মিরবাসীদের জন্য যেকোনও কিছু করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইমরান খানের সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছেদ করার পাশাপাশি ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে এবং দিল্লি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়। এই ইস্যুতে তাদের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। চীন, তুরস্ক, ইরান, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশই পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়।
নরেন্দ্র মোদিকে ফ্যাসিবাদী অ্যাখ্যায়িত করে ইমরান খান বলেন, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরিরা যখন রাস্তায় নেমে আসবেন, তখন কী ঘটবে?’
এ সময়ে কাশ্মীরের নিরাপত্তা জোরদার করার নামে সেখানে ৯ লাখ ভারতীয় সেনা মোতায়েনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে সাবেক এ কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকা বলেন, ‘আমার আশঙ্কা- লোকজন যখন রাস্তায় বিক্ষোভ জানাতে নেমে আসবেন, তখন তাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালানো হবে।
পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দেখা করতেই মূলত নিউইয়র্কে তার যাওয়া জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য একটি আনুপাতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি, যা এখানকার কেউ উপলদ্ধি করতে পারছেন না।তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে সেনাপ্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান আমাকে ফোন করে বলেন যে, ভারতীয় বিমান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালিয়েছে। আমরা কী করতে পারি? আমরাও কি সেই পছন্দটি বেছে নিতে পারি?
ইমরান খান বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করব। আমাদের হাতে কী কী বিকল্প আছে? আমরা কী করি? আমরা কী সেই দুঃস্বপ্নের দৃশ্যপট শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি এবং আশা করছি, যাতে তা না ঘটে।