রোগীর শরীর থেকে কিডনি গায়েবের ঘটনায় তিন চিকিৎসককে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসক এবং ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক চিকিৎসককে এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে। দুই বছরে ভুক্তভোগীদের মামলা না নেয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধেও শাস্তির সুপারিশ করবে কমিশন।
বেঁচে থাকার অধিকারই হলো মানুষের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার। সেই অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে রওশন আরার ক্ষেত্রে। বাম পাশের কিডনি অপারেশনের সময় ডান পাশের ভালো কিডনিও কেটে ফেলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
দুইমাস তদন্তের পর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল ও সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন হত্যার মতো অপরাধ করেছেন বলে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই দু’জন চিকিৎসক কেনো ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন না তা জানতে চাওয়া হয় নোটিশে।
এছাড়া, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দুই বছর দেরি করায় ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদকেও ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশও করেছে কমিশন। একমাসের মধ্যে কমিশনে এসে তাদেরকে ব্যাখ্যা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার দুই বছরেও মামলা না নেয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।