চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ৯টা ও ১০টায় সেখানে আরও দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. আশরাফ আলী।
শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শামসুল ইসলাম। জীবানুনাশক টানেলের ভেতর দিয়ে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
এ দিকে ঈদের জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন মসজিদে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য।
জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, এবার ঈদগাহ বা খোলা মাঠের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি মসজিদে প্রয়োজনে একাধিক ঈদ জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়। সরকারের এই নির্দেশনার কারণে এবারই প্রথম কিশোরগঞ্জের ২৭০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগায় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত হয়নি।