মোহাম্মদ ফজলুল হক, হরষপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রশ্ন : আজকাল বিভিন্ন পণ্য কিস্তিতে বেচাকেনা হচ্ছে, কিন্তু এ পণ্যই নগদে ক্রয় করলে কম মূল্যে পাওয়া যায়। এখন আমার প্রশ্ন কিস্তিতে বেশি টাকা দিয়ে ক্রয় করলে কি সুদ হবে? শরিয়ত কী বলে?
উত্তর : নগদ ও বাকি বেচাকেনার মাঝে কমবেশি মূল্য নির্ধারণ করা জায়েজ আছে। অবশ্য ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনার বর্ণিত প্রশ্নে এখানে অতিরিক্ত টাকা পণ্যের বিপরীতে, অতিরিক্ত টাকা টাকার পরিবর্তে নয়, এ জন্য সুদ হবে না। যদি সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তাহলে কিস্তির মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা জায়েজ বলেছেন।
তথ্যসূত্র : নাসায়ি শরিফ, হাদিস নং-৪৫৬৬, মিশকাত শরিফ নং-২৭৪৮, বাদায়ূস সানাঈ খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১৮৭, আল বাহরুর রায়েক, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-২৮০, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-৫ পৃষ্ঠা-১৯৭।
শামিম হাওলাদার, সুইজারল্যান্ড
প্রশ্ন : মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের করণীয় কী? জানালে উপকৃত হব?
উত্তর : মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির চেহারা কিবলামুখী করে দেয়া এবং তার সামনে বসে তাকে শুনিয়ে কালেমা তায়্যিবা ও কালেমা শাহাদাত পড়া পাশে থাকা লোকদের দায়িত্ব। তবে তাকে কালেমা পড়ার আদেশ দেয়া যাবে না বরং তাকে শুনিয়ে পড়তে থাকবে। তার পাশে বসে সূরা ইয়াসিন পড়বে।
উল্লেখ্য, শয্যাশায়ী ব্যক্তি কালেমা একবার পড়ে নিলে তারপর যদি দুনিয়াবী কোনো কথা না বলে তাহলে দ্বিতীয়বার কালেমা পড়ার কথা বলা উচিত নয়।
তথ্যসূত্র : মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-৯১৬, আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং-৩১২১, মুস্তাদরাক, হাদিস নং-১৩০৫।