আগামী ১ থেকে ১৪ এপ্রিল জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভা আজ (বুধবার) দুপুরে নগরীর সামসুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিকে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালীন খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার ৫-১৬ বছর বয়সী তিন লাখ ৮৪ হাজার আটশত ছয় জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। জেলার এক হাজার ছয়শত ৮৮ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চার শত ৯৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫-১৬ বয়সী শিক্ষার্থী এবং একই বয়সের পথশিশু, কর্মজীবী শিশু, বিদ্যালয় হতে ঝরেপড়া শিশুরাও এর অন্তভূর্ক্ত থাকবে। দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়সমূহ বন্ধ থাকায় এবিষয়ক কারিগরি কমিটির নিদের্শনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট কৃমিনাশক ঔষধ প্রদান করা হবে ও সেবন প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে বিদ্যালয়কেন্দ্রীক ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচির আওতায় শিশুদের ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, কৃমিনাশক ট্যাবলেট শিশুর জন্য নিরাপদ ও পাশর্^প্রতিক্রিয়াহীন। এটি শিশুর ভরাপেটে বা খাবার খাওয়ার পরে খেতে দিতে হবে। কৃমি শিশুর শরীরে ভিটামিনের স্বল্পতা, অপুষ্টি, শেখার ক্ষমতা হ্রাস, রাতকানার প্রবণতা বৃদ্ধিসহ জটিল রোগ সৃষ্টি করে। দেশের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের ৩২ শতাংশ কৃমি সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়।
সভায় সেশন পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার। সভায় খুলনার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এ সভার আয়োজন করে।