কয়রায় লবণ পানির চিংড়ীঘের বন্ধ করে ধান সহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের সুবিধার্তে প্রতিটি এলাকায় সরকারিভাবে সেচ মিটারের ব্যবস্থা করা হবে। মঙ্গলবার কয়রা উপজেলা পরিষদে মাসিক সাধারণ সভায় উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু একথা বলেন। তিনি বলেন, বেঁড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে লবণ পানি উঠানামার কারনে বেঁড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ সহ নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে এবং সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে ক্ষতিকর। তিনি দূর্যোগ থেকে কয়রার ১২০ কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধ রক্ষার্থে লবণ পানির পরিবর্তে মিষ্টি পানির চাষাবাদে কৃষদরে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সকল জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান। সেজন্য তিনি প্রতিটি এলাকার কৃষক যাহাতে সহজ শর্তে সরকারিভাবে সেচ মিটার নিয়ে সারা বছর ফসল উৎপাদন করতে পারে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সামাদ গাজী, মহেশ^রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারি, উত্তরবেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলমসহ উপজেলা পরিষদের সকল সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ। সভা শেষে সংসদ সদস্য সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে এক আলোচনা সভায় কয়রায় লবণ পানির চিংড়ী ঘের বন্ধ করতে বেঁড়িবাঁধের তলায় এবং উপরে পাইপ তুলে ফেলার জন্য সবাই একমত পোষণ করেন। এছাড়া মিষ্টি পানির মৎস্য ঘের সহ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সল্প খরচে সেচ মিটার নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য সহযোগিতা করা হবে।