ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি :: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা- বিকাল ৩টায় খুলনার গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সঞ্চলে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে আবাদি জমিতে সীমিত আকারে ফসল উৎপাদিত হয়। গোপালের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি, জলোচ্ছ্বাস এবং ঘূর্ণিয়ায় আক্রান্ত হয়।
উপরন্তু, এই অঞ্চলসমূহ শুষ্ক মৌসুমে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস ও লবণাক্ততা বৃদ্ধিজনিত কারণে আসল দৈপাদন সুবহ হয়ে পড়ে। উপকূলীয় অঞ্চলের জমি অধিকাংশই একক ফসলী (পতিত-পতিত-রোপা আমন) এবং বর্ষা মৌসুমে তখন গণারুতা হ্রাস পায় তখন ফসল চাষ করা হয়। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এই সকল জেলায় কৃষির আধুনিক সুযোগ সুবিধাসমূহ ব্যবহারের পরিমাণ কম। ফলে কৃষির কাংখিত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে না। খাদ্য ঘাটতি মেটানোর জন্য কৃষক ধান ভিত্তিক দলের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ায় ভূমি ক্ষয় ত্বরান্বিত হচ্ছে, পানি সম্পদের ঘাটতি তৈরী হচ্ছে, মাটির উৎপাদন ক্ষমতা ও উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলে পুষ্টি ও খাদ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে ভূপৃষ্ঠস্থ পানি সেচের মাধ্যমে উদ্যানতাত্ত্বিক হস্য উৎপাদন উৎসাহিত করা এবং মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।
এ লক্ষ্যে এ অঞ্চলে জমি চাষের আওতায় জানা, পানি সম্পদের কার্যকরী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে বসতবাড়িতে সবজি এবং উদ্যানতাত্ত্বিক কাউকে চাষ সম্পসারণ এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে “গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জমি পতিত রেখে ফসলের নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব না।
উপজেলার ব্লক পর্যায় থেকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জাতীয় পরিকল্পনার গ্রহণ করে চাষাবাদের কৌশল ঠিক করতে হবে। আমাদেরকে খোর পোষের কৃষি থেকে বেরিয়ে এসে বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিযে আসতে হবে। মাঠ পর্যায়ে যে ফসল আবাদ করে কৃষক লাভবান হবে সে ফসল আবাদের পরিকল্পনা করে কৃষককে লাভবান করতে পারলে আমাদের কৃষি আরো অনেকদুর এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোঃ আসাদুল্লাহ , প্রধান অতিথি সিনিয়র সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোঃ মেজবাহুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদঅরবিন্দু, ফরিদপুর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিদ, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, পিরোজপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাকায়েত হোসেন, ডুমুরিয়ার আদর্শ কৃষক আবুহানিফ মোড়ল, সার্বিক সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের উপ পরিচালক