চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)’র ময়ূরী প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ। ইতোমধ্যে গড়ে শতকরা ৫০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ফলে সকল বাধা-বিপত্তি চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে প্রকল্পটি। সংস্থার প্রকৌশলী বিভাগ বলছে, বর্তমান চেয়ারম্যানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ে প্লট হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।
কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে নগরীর পশ্চিম প্রান্তে সিটি বাইপাস সড়ক সংলগ্ন আহসানাবাদ মৌজায় ‘ময়ূরী’ নামে নতুন একটি আবাসিক এলাকা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ৯০ একর জমির উপর এ আবাসিক এলাকাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কেডিএ’র গ্রহণ করা ওই প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন পায় বিগত ২০১৩ সালে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ছিল ১২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। কিন্তু জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে সংস্থাটি। ২০১৫ সালে সংশোধিত প্রকল্পে ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। যার বাস্তবায়ন কাল ধরা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ওই মেয়াদে প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের কাজ শেষ হয়। কিন্তু প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে মার্চে পুনরায় ২৭৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন শেষে বর্তমান লেক ও পার্ক নির্মাণ, সড়কের এ ও বি ব্লকের সাববেজ, পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, বৈদ্যুতিক কাজ চলমান রয়েছে। ফলে অনেক বাধা-বিপত্তি চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আলোর মুখ দেখচ্ছে এ প্রকল্পটি।
এ ব্যাপারে কেডিএ’র প্রকৌশলীরা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে এধারা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই সকল কাজ সমাপ্ত হবে। এরপর ডিসেম্বরে সকল গ্রাহকের কাছে প্লট হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা।