যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। বুধবার শপথগ্রহণের পর থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। মুসলিম দেশগুলোর ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াসহ ১৫টি জরুরি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অনেকে ফ্যাক্সযোগে, অনেকে দূত মারফত পত্র দিয়ে, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটারে পোস্ট দিয়ে বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনন্দনে সিক্ত বাইডেন।
বিদেশি নেতাদের মধ্যে সবার আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে টেলিফোন করবেন জো বাইডেন। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিতর্কিত কিস্টোন পাইপলাইনের বিষয়ে কথা বলতে তিনি ট্রুডোকে ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। খবর এনডিটিভি ও সিএনবিসির।
হোয়াইট হাউসে সাকির প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হবেন তার (বাইডেনের) প্রথম বৈদেশিক কল।’ তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কিস্টোন এক্সএল তেল পাইপলাইন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুই নেতা কথা বলবেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা আপাতত প্রেসিডেন্টের নেই বলে জানিয়েছেন জেন সাকি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের শুরুর দিককার কলগুলো হবে সহযোগী ও সমমনাদের সঙ্গে।
এদিকে এক বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমরা প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতিকে যেমন স্বাগত জানাই, তেমনি প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তেও (তেল পাইপলাইন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা) আমরা হতাশ। যদিও নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছেন, সেগুলো পূরণের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে।’
বাইডেনের আদেশের পর পাইপলাইন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টিসি এনার্জি বুধবার তাদের চলমান নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে কয়েক হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারাবেন বলে জানায় তারা।
কানাডা ২০১০ সালে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ এই প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে ২০১৭-তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন।