চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ চিকিৎসাসেবায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালকে তিনটি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন আজ অধিগ্রহণ করা তিনটি এ্যাম্বুলেন্স খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় খুলনার জেলা প্রশাসক এই ঘোষণা দেন। সভাটি আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
অধিগ্রহণ করা এই এ্যাম্বুলেন্স তিনটি করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ, প্রয়োজনে লাশ পরিবহন ও সাধারণ রোগী আনা-নেওয়াসহ খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে অবস্থানরত চিকিৎসকদের সেবায়ও ব্যবহার করা হবে। এসকল এ্যাম্বুলেন্স খুলনা ডিসি পুলের চালকরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চালাবেন।
সভায় খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার, খুমেক-এর উপাধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ ও খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ জানান, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী মারা যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর রোগীর দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু জীবিত থাকে না। তাই কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোন রোগী মারা যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর লাশ পরিবহনসহ দাফন-কাফনে কোন সমস্যা নেই।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও আইসোলেশান সেন্টার হতে যাতে রোগীরা পালাতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা থাকবে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা কিট মজুত রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং ত্রাণ বিতরণসহ সার্বিক সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ( সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি আগামী ২৬ এপ্রিল খুলনায় আসবেন। তিনি আরও জানান, কমিটির সকল সদস্য ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা যেন সাবধানে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী দায়িত্ব পালন করেন। কোন রকমের সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে কমিটির প্রধানকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় অন্যানের মধ্যে পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা মেট্রপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এহসান শাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান খান, জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএসএম সিরাজুদ্দোহা, খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক গাজী জাকির হোসেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল আলিম, জেলা সমাজসেবা দফতরের উপপরিচালক খান মোতাহার রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।