বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান (এনডিসি, পিএসসি) বলেছেন, ক্যাডেটরা দেশের একজন শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম। যারা জ্ঞান, শৃংখলা এবং স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়। নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি, দেশের কাজে ত্যাগের মনোভাব, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশের উন্নয়ন ও দুর্দিনে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব গঠন, বহিশত্রুর আক্রমনের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় সারির প্রতিরোধ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আশা করি তার প্রতিফলন দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টায় বিএনসিসি সুন্দরবন রেজিমেন্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং ২০২৪ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালী জাতির গৌরব বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আমি স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ক্যাডেট সার্জেন্ট সাফি ইমাম রুমি ও ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল মেজবাহ উদ্দিন নৌফেলসহ যাদের আত্মত্যাগে আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। এছাড়া আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বিএনসিসি ক্যাডেট সিহাব আহমেদসহ সকল ছাত্র-জনতাকে, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
এ প্রশিক্ষণ থেকে তোমরা প্রত্যেকেই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মত বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী হবে এবং দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়াও বিএনসিসি’র গঠনমূলক বহুমুখী শিক্ষা কার্যক্রমগুলো আগামী দিনের জন্য তোমাদের আত্মবিশ্বাসী, সাহসী, ত্যাগী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও সুশৃংখল তরুণ নেতৃত্ব গঠনে নিবিড়ভাবে পরিচালিত করবে। যে প্রশিক্ষণ তোমরা গ্রহণ করেছো তা দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে, প্রাথমিক চিকিৎসা, ফায়ার সার্ভিস, ডিফেন্স, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অনেক সুফল বয়ে আনবে। জরুরী বা যুদ্ধকালীন সময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে সেচ্ছাসেবী মনোভাব ক্যাডেটরা গড়ে তুলেছে তা দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
গত ১৭ ডিসেম্বর হতে শুরু করে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপী পরিচালিত এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পিং এ খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের ৪টি জেলাসহ ২১ জেলার ৯৮ টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৩৩ জন ব্যান্ড প্রশিক্ষণার্থীসহ ৪৭৪ জন ক্যাডেট অংশগ্রহণ করে।
ক্যাম্পিং এ শ্রেষ্ঠ ফায়ারার বিএনসিসিও লেঃ মোঃ রেজাউল করিম খান, শ্রেষ্ঠ ফায়ারার সিনিয়র ক্যাডেট সাজেন্ট সৌরভ সরকার, শ্রেষ্ঠ ফায়ারার ক্যাডেট কর্পোরাল তমা বিশ্বাস, শ্রেষ্ঠ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ক্যাডেট আন্ডার অফিসার মোছাঃ নওশিন নাহার জেবাকে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। এরপর প্রধান অতিথি গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে বিদায়ী দরবার ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। পরে তাকে রেজিমেন্ট কমান্ডার লে:কর্ণেল মোঃ কামরুল ইসলাম (বিজিবিএম, পিএসসি) শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস।
ক্যাম্পিং এ শ্রেষ্ঠ ফায়ারার বিএনসিসিও লেঃ মোঃ রেজাউল করিম খান, শ্রেষ্ঠ ফায়ারার সিনিয়র ক্যাডেট সাজেন্ট সৌরভ সরকার, শ্রেষ্ঠ ফায়ারার ক্যাডেট কর্পোরাল তমা বিশ্বাস, শ্রেষ্ঠ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ক্যাডেট আন্ডার অফিসার মোছাঃ নওশিন নাহার জেবাকে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। এরপর প্রধান অতিথি গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে বিদায়ী দরবার ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। পরে তাকে রেজিমেন্ট কমান্ডার লে:কর্ণেল মোঃ কামরুল ইসলাম (বিজিবিএম, পিএসসি) শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত কমান্ড্যান্ট, এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল, জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, উপস্থিত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ক্যাডেটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।