চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ।আধুনিকতার ছোঁয়া প্রায় সবক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে এমনকি পেশার ক্ষেত্রেও আধুনিকতা ছোঁয়া অনেকটা লক্ষণীয়।বলা যায় সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মন-মানসিকতা।সময় সচেতন ও মানুষ সমযোপযোগী পেশা বেছে নিতে অনেক তৎপর।পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম পছন্দের।কারণ সাংবাদিকতার মাঠ অনেকটা বিস্তৃত।একটা সময় ছিল সাংবাদিকতা শুধু খবরের কাগজের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল।
বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সাংবাদিকতার আগের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আধুনিকতার সাথে বর্তমানে নিত্যনতুন পত্রিকা, টেলিভিশন,রেডিও চালু হচ্ছে।তবে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় এখন খবরের কাগজের স্থান কিছুটা হলেও দখল করে নিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলো।অবশ্য তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় খবরের কাগজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন অডিশন বের করছে।পত্রিকার ও টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুযোগ রয়েছে রেডিওতে।এখানে রয়েছে অনেক সন্মান।সৃজনশীল দক্ষ তরুনরা এ পেশায় আসতেছে।তাই বলা তরুণদের জন্য যুগোপযোগী পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা গুরুত্ব অপরিসীম।
তাছাড়া সাংবাদিকতা বিষয়ে পাঠদানের জন্য বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বর্তমান বাজারে চাহিদা দেখে খুলেছে এ বিভাগটি।
জাগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে রুমানা লিমা বলেন, ছোটবেলা থেকে ভালো লাগতো সাংবাদিকতার বিষয়টি।আমি মনে করি অন্য আট বা দশটা বিষয়টি মতো সাংবাদিকতার বিষয়টি নয়।সাংবাদিকতা ক্রিয়েটিভ বিষয়।এখানে ক্রিয়েটিভ খাটাতে হয় যা অন্য বিভাগের বা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য নয়।আমি জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানে চান্স পাওয়ার পরেও এখানে সাংবাদিকতায় পড়ছি।কারণ আমার এটি ভালো লাগে।”
মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোলেমান কবীর বলেন “সমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো হয়তো সে অঞ্চলের লোকদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতো কিন্তু একজন সাংবাদিক সেটাকে বিশ্বের সকল অঞ্চলের জনসাধারণকে জানার মাধ্যম হিসেবে ধরা হয় একজন সাংবাদিককে। এ ছাড়া সমাজে লুকিয়ে থাকা অসঙ্গতিগুলো হয়তো লুকিয়েই থাকতো কিন্তু একজন সাংবাদিক অনুসন্ধানী সংবাদ উপস্থাপনের মাধ্যমে অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন। তাই সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি একজন আদর্শ সাংবাদিক হতে চাই।”
স্টার্মফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, “সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যেখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা যায়। সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। একজন সাংবাদিক যেভাবে সমাজকে জাতির সামনে তুলে ধরবেন জাতি ততটুকুই জানবে এর বেশি নয়।”
একসময়ে এখানে কাজ করার প্রতি জনমনে আগ্রহের কমতি থাকলেও বর্তমানে এখানে কাজ করাকে স্বপ্ন মনে করে অনেকই। তাই দিনে দিনে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ ব্যাপক বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণরা এর প্রতি বেশি পরিমাণে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়াও ভালো বেতনে চাকরি করার সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধাদি থাকায় সব বয়সী লোকের মাঝে এর প্রতি আগ্রহ অপরিমেয়।
লেখক: আসমাউল মুত্তাকিন
শিক্ষার্থী
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি