চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃটানা ২৪ দিন ক্লাস হয় না খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীদের। ফলে ক্লাসের দাবিতে এবার তারা নেমেছে আন্দোলনে। গতকাল সোমবার কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে সকল শিক্ষার্থীরা। প্রথমে পুরাতন যশোর রোডে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে। অবিলম্বে দাবি আদায় না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কলেজের দ্বিতীয় শিফটের সিভিল ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটের বেতন পায় না এমন অভিযোগে ক্লাস নিচ্ছেন না আজ ২৪/২৫ দিন ধরে। ফলে আমাদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটছে। প্রথম শিফটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলেও দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছেন না। অথচ ন্যায্য বেতন পরিশোধ করে যাচ্ছি। পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষা দিতে হবে। ক্লাসই যদি না হয় তাহলে, কিভাবে পরীক্ষা দিবো। ফলে বাধ্য হয়ে রবিবার থেকে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার ক্লাস বর্জন করা হয়। গতকাল সোমবার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছি। আর আজ মঙ্গলবার ক্লাসের দাবিতে ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হবে। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রথম শিফটের সকল শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
প্রথম শিফটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ নবাব বলেন, দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস গত ১ ফেব্র“য়ারি থেকে নেওয়ার কথা ছিল। অথচ আজ ২৪ দিন কোন ক্লাস হয় না। ফলে তারা কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের সাথে আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছি। তিনি বলেন, গত সেমিস্টারেও ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো শিক্ষকরা। তখনও আন্দোলন করার পর ক্লাস নেওয়া হয়। সকালে ক্লাস নেওয়ার দাবিতে পুরাতন যশোর রোডে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছি। অবিলম্বে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির খুলনা শাখার সহ-সভাপতি তালাত মাহমুদ জোয়ার্দ্দার বলেন, পূর্বে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস নেওয়া হলে শিক্ষকদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ ভাতা দেওয়া হতো। গেল প্রায় ১৯ মাস ধরে সেটি বাতিল করে নতুন এক নিয়মে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তাতে হিসাব করে দেখা গিয়েছে ২২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ আসছে। আমরা পূর্বের মতোই প্রচলিত নিয়মে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১ ফেব্র“য়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস নেওয়া বর্জন করে দেয়া হয়েছে।