কয়রা প্রতিনিধিঃ কয়রায় পল্লীতে চিংড়ীঘের দখল কারীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আসামীরা বাদীকে জীবন নাশের হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেেেছ। ঘটনাটি কয়রা থানার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বানিয়াখালী গ্রামে। উল্লেখ্য বিগত ২১ মার্চ চন্দন রায়ের ৮ বিঘা চিংড়ীঘের দখল করে নেয় বানিয়াখালী গ্রামের বাসুদেব রায় (৩৫), তরুন কান্তি মন্ডল (৫৮), শৈনেল মন্ডল (৪০) ও মিহির রায় (৩৫) সহ আরও অনেকে। এসময় তারা লক্ষাধিক টাকার মাছ সহ ঘেরের বাসায় ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় কয়রা থানায় অভিযোগ হলে ২০ এপ্রিল আসামীরা বানিয়াখালী বাজারের পার্শ্বে সকাল অনুঃ ৯ টার সময় চন্দনের পিতা তরুন প্রকাশ রায় (৫৭) কে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় তরুন রায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকে। এবং চন্দন রায় বাদী হয়ে হয়ে কয়রা থানায় ৪ জনকে আসামী করে ২৬/০৪/২০২০ তারিখে একটি মামলা করেন যার নং ১৭। আসামীরা হলেন, রতন সরদার (জয় সরকার)(৩৫), বাসুদেব রায় (৫৬), তরুন কান্তি মন্ডল (৫৮) ও সুশান্ত সরদার (৫৭)। জানা গেছে, দীর্ঘ ২ মাস তদন্তের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন গত ৩ জুন মামলার উল্লেখিত ৪ জন আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। অতঃপর আসামী রতন সরদার সহ ৪ জন আসামী আদালতে হাজির হলে, আদালত রতনকে জেল হাজতে পাঠায় এবং অপর ৩ জন আসামী কে জামিনে মুক্তি দেয়। সূত্র জানায় আসামী রতন সরদার জেল হাজতে যাওয়ার পূর্বেই পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামী রতন অন্যান্য আসামীদের ডেকে বলেন, আমি বাড়ী ফিরে চন্দন ও তার পিতা তরুন রায় কে জীবনে শেষ করে ফেলব। এছাড়া জামিন পেয়ে অন্যান্য আসামীরা বাড়ী ফিরে বাজারঘাটে মামলার বাদী চন্দন ও তার পিতাকে প্রকাশ্য জীবন নাশের হুমকী দেওয়ায় বাদী ও তার পিতা জীবনের নিরাপত্তারহীনতায় ভুগছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, আসামী তরুন কান্তি মন্ডল ওরপে ডিপু তরুনের নামে কয়রা থানা ও আদালতে ৮ টি মামলা রয়েছে। এবং একটি মামলায় সাজা হওয়ায় পর জামিনে আছে। এ বিষয় চন্দন রায় জানায়, জামিন পেয়ে আসামীরা এখন বেপরোয়া এবং আমার ও বাবাকে হুমকী দেওয়ায় কয়রা থানায় এ বিষয় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এছাড়া আমাকে অস্ত্র মামলায় ফাসানোর জন্য র্যাবকে সংবাদ দেয় এবং র্যাব সদস্যরা এসে আমার মিলে অস্ত্র পোতার সময় তরুন মন্ডল উল্টে নিজেই গ্রেফতার হন।