কয়রা প্রতিনিধিঃ কয়রায় অর্জুনপুর হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় তিনটি পদে নিয়োগে যোগ্যতাবিহীন প্রার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উক্ত মাদ্রসার ছাত্র অভিভাবক অজিয়ার রহমান বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানান, আজ শনিবার লিখিত নিয়োগ পরিক্ষা হবে এবং পরিক্ষার আগেই ৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে মাদ্রাসা সভাপতি ও সুপার লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন ।
অভিযোগে আরও জানা যায় সভাপতি ও সুপার যোগসাযোগে কয়রায় নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র না করে খুলনা কর্নেশন স্কুলে আজ শনিবার পরিক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়া মাদ্রসা সভাপতি জহুরুল হক বাচ্চু ও সুপার মাওঃ আঃ রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৩ টি পদে নিয়োগ বানিজ্য করছে এমন খবর জানাজানি হওয়ায় ২ মাস নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ করে কতৃপক্ষ।
অভিযোগকারি অজিয়ার রহমান বলেন, সহকারি সুপার পদে জনৈক আঃ সালাম এবং আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে ৩ জনের কাছ থেকে নিয়োগ বাণিজ্য করে আজ শনিবার গোপনে পরিক্ষা নিচ্ছে। তিনি বলেন জনবল কাঠামো ২০১৮ অনুযায়ী সহকারি সুপার পদে নিয়োগের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতায় বলা হয়েছে যে শিক্ষা জীবনে যে কোন একটি স্তরে ৩য় বিভাগ/ শ্রেণী গ্রহনযোগ্যতা হতে পারে।
অথচ উক্ত আঃ সালামের একাধিক ৩য় বিভাগ থাকা সত্বেও তাকে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে এবং তাকেই নিয়োগ দেয়া হবে বলে সালাম এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয় মাদ্রসা সভাপতি জহুরুল হকের সাথে কথা বললে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার বলেন, যোগ্যতাসম্পূর্ণ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে মাদ্রাসা সুপার মাওঃ আঃ রাজ্জাক জানান, সভাপতি নিজেই নিয়োগ পরিক্ষা সকল প্রস্তুতি নিয়ে আমাকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ অক্টোবর চলমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। যে কারনে সভাপতি তড়িঘড়ি করে তার মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমাকে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, এই নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে এবং ২ বার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে এই নিয়োগ বাণিজ্যের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় অভিজ্ঞমহল নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ রাখার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য কে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন। এ সম্পর্কে মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বললে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে জানার পর সংশিলষ্ট কতৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া সহ সুপার পদে যাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান এবং জামায়াতে ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী।