কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ দূর্যোগ এখন এখন বিশ্বব্যাপী। করোনা ভাইরাস ও দূর্যোগে বিশ্ব কাঁপছে। সব দূর্যোগকে মোকাবেলা করে বাঁচতে হবে বিশ্বকে। “দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সারাদেশে ১৭ হাজার ৯টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান অনুষ্ঠান বিটিভি’র মাধ্যমে একযোগে উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রেক্ষিতে কয়রা উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওয়ার্ল্ড ভিশন নবযাত্রা প্রকল্প, জলবায়ু পরিষদ, কারিতাস, হেলভেটাসের সহযেগিতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৬টি দুর্যোগ সহনশীল বাসগৃহ উদ্ধোধনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ দূর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকতের পরিচালনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা সমাসসেবা অফিসার অনাথ কুমার বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষা অফিসার এম আবু খালিদ, নবযাত্রা প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মনোতোষ কুমার মধু, রূপান্তরের নীলা রাণী, সিএলআরএসের পারভীন আক্তার, ইসলামিক রিলিফের রাজু আহমেদ প্রমুখ। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, দিবসটির প্রতিপাদ্য বর্তমান পেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধব দূর্যোগ ঝঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচি প্রচলন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা , জলোচ্ছাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় মুজিব কেল্লা নির্মাাণ করেন। তিনি বলেন, পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করার কারনে আজ প্রাকৃতিক দূর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য দূর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি সহ দুর্যোগ ব্যবসথাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।