কয়রা প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলার বিভিন্ন পোল্ডারে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ীচাষ করতে স্লুইসগেট ব্যবহার করে লবণ পানি উত্তোলন করায় বেঁড়িবাঁধসহ স্লুইস গেট হুমকীর মুখে। এ বিষয় এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের লালুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন দরগা বাড়ীর খাালের মুখে স্লুইসগেটটি স্থানীয় চিংড়ী চাষীরা ব্যবহার করায় মারাত্তক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গেটটি। অথচ স্লুইসগেট শুধুমাত্র পানি নিস্কাসনের জন্য বাহিরের অংশ সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। যে কারনে নদীর জোয়ারের পানি গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে গেটের ভিতরের অংশে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অভিযোগে আরও জানা যায়, এলাকার আকরাম সানা, আসলাম সান, রাশেদুজ্জামান বাবু, আমিরুল সানা, শিপন, রফিকুল গাজী, আসমাতুল্লাহ, ইয়াকুব মোড়ল সহ প্রায় অর্ধ শতাধীক চিংড়ী চাষী ২৪ ঘন্টায় ২ বার কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের পানি উক্ত গেট দিয়ে দরগাবাড়ী খালের মাধ্যমে চিংড়ী
ঘেরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে সম্প্রতি স্লুইস গেটের নদী সম্মুস্থ পাট মারাক্তক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বর্তমানে জোয়ারের পানিতে ভাসছে কয়েকটি গ্রামের নিচু এলাকা। এ বিষয় গাজীনগর মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে লালুয়া বাগালী গ্রামের শেহের আলী গাজী জানান, তিনি এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ কয়রা থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ করায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করে স্লুইস গেটটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু উল্লেখিত চিংড়ী চাষীগণ রাতের আধারে পাট তুলে দেওয়ায় জোয়ারের পানির স্রোতে উক্ত পাট নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার পাড় গেটের সভাপতি এবং তার নির্দেশে চিংড়ীচাষীরা লবণ পানি তুলতে এই গেট ব্যবহার করছে। তবে চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার তার সহযোগিতার কথা অস্বীকার করে বলেন, বেঁড়িবাঁধ ছিদ্ধসঢ়;্র না করে গেট দিয়ে পানি তুলে ঘের করায় অসুবিধা কোথায়। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউল আবেদিন জানান, গেট ব্যবহার করে নদী থেকে জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করায় গেটের সামনে ভিতরের অংশে গভীর হয়ে গেটটি হুমকীর মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, সুইসগেট পানি নিস্কাসনের জন্য বাহিরের অংশে ডিজাইন মোতাবেক করা হলেও ভিতরের অংশে অনুরুপ না থাকায় উক্ত গেটটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।