কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা কয়রার প্রতিটি নদ নদীতে অতি মাত্রায় জোয়ারের পানি
বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিহরপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রামের আংশিক প্লাবিত। সোমবার দুপুরে কয়রা পাইকগাছার জাতীয় সংসদ সদস্য
আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু সরেজমিনে ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও তাদের নিদিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অধিক জোয়ারের পানিতে নির্মানাধীন বাঁধের উপর দিয়ে প্রথমে পানি ভিতরে প্রবেশ করে।
স্থানীয়রা জানায়, হরিহরপুর গ্রামের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়ে রবিবার দুপুরে গাতিরঘেরি গ্রামের রিং বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ায় ২ টি গ্রাম
জোয়ারভাটা অব্যহত আছে। তারা জানায়, দ্রুত গাতিঘেরির রিংবাধ বাধা না হলে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সূত্র জানায়, ঠিকাদারের অবহেলার কারনে নির্মাণ কাজ বিলম্ব করায় শীতের এই মৌসুমে বাড়ীঘর ছেড়ে দিতে হয়েছে। সেজন্য স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ঠিকাদার কালাম শেখকে দায়ী করেছেন। এদিকে সোমবার দুপুরে সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছালে দু’ গ্রামের শতাধিক নারী ও পুরুষ সাংসদকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার শুধু আপনার দোহাই দিয়ে কাজে বিলম্ব করেছেন। এছাড়া ঠিকাদার তাদের সময় হলে কাজ করবে বলে অবহেলা করায় তাদেরকে ভাসতে হচ্ছে। এসময় জাতীয় সংসদ সদস্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারে বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান শীতের সময়ে এই অসহায় মানুষ গুলো লবন পানিতে ভাসছে আপনাদের অবহেলার কারনে। তিনি বলেন, ওদের চোখের পানি ঝরছে, কষ্ট পাচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা শুধুমাত্র আপনারা সময়মত বাঁধে মাটি দিয়ে উচু না করায়।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে কোন ঠিকাদার এমপির দোহাই দিলে ধরে বেঁধে আমাকে জানাবেন এবং নির্মান কাজে ফাঁকি দেবে ঠিকাদার, টাকা আনব আমি আর কষ্ট পাবে জনগন আমি তা হতে দেব না। এ বিষয় পাউবোর স্থানীয় কর্মকর্তা মশিউল আলম জানান, ঠিকাদার সময়মত কাজ না করা এবং আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের কারনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, দ্রুত বাঁধ রক্ষা করার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কোম্পানি সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।