শাহজাহান সিরাজ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলা সদরের মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনের সাথে সড়কের সংযোগ না থাকায় ও ৬নং কয়রা গুড়িয়াবাড়ী এবং হরিহারপুর লঞ্চঘাটে পন্টুনের ব্যবস্থা গ্রহন করায় নদীপথে খুলনাগামী শত শত যাত্রীদের নিত্যদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’ ৩০ জুলাই সকালে এ সকল কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। কয়রা সদরে লঞ্চঘাটের পন্টুনের সাথে সংযোগ পথ ও ৬নং কয়রা ও হরিয়ারপুর লঞ্চঘাটের পন্টুন সার্ভিসটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। এলাকবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনের সাথে সড়কের সংযোগ না থাকায় কয়রা থেকে নদীপথের খুলনাগামী শতাধিক যাত্রীদের দুর্ভোগ নিত্যদিনের ব্যাপার ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা এমন ভোগান্তির স্বীকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা নিতেই দেখা যায়নি । প্রতিদিন ৪টি যাত্রীবাহী লঞ্চ এ নৌপথে যাতায়াত করে। কিন্তু মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনে উঠার সিঁড়ি না থাকায় লঞ্চগুলো নদীর চরে ভিড়তে বাধ্য হয়। আর ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। ভাটার সময় হাঁটু কাদা পেরিয়ে লঞ্চে আরোহণ, আর জোয়ারের সময় সহায়ক হয় গামছা। মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বোরখা কাপড় ভিজিয়ে আদরের সন্তান কোলে কাঁধে নিয়ে বহু কষ্টে লঞ্চে উঠতে হয় তাদের । কয়রা-পাইকগাছার এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু’র প্রচেষ্টায় কয়রা সদরে পন্টুনের সাথে সড়কের সংযোগ পথ তৈরি ও ৬নং কয়রা এবং হরিয়াপুর ২ টি লঞ্চঘাটে নতুন পন্টুন স্থাপনে এমন জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রতিদিন লঞ্চে যাতায়াতকারী শত শত মানুষ উপকৃত হবে। দীর্ঘ দিনের দাবী পূরণ হওয়ায় পুরো এলাকায় রয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। জনগুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটের নতুন পন্টুন ও পন্টুনের সাথের সংযোগ পথের ব্যবস্থা কয়রায় এলাকাবাসী এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। অপর দিকে একই দিন কয়রা সদরের ৫নং ও ৬নং কয়রা গ্রামের শতভাগ পল্লী বিদ্যুৎতের সংযোগ প্রদান করা হবে। আনুষ্ঠানিভাবে এমপি আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এ কাজের উদ্বোধন করবেন। এটি উদ্বোধন করা হলে ২ টি গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎতের আলো জালাতে পারবে ঐ দিন। সেই আশায় বুক বেধে আছে উপকুলীয় এ জনপদের মানুষ।