সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকার অধিগ্রহণকৃত জমির যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি দেড়শ পরিবারের | চ্যানেল খুলনা

খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকার অধিগ্রহণকৃত জমির যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি দেড়শ পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পীর খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকার দেড়শ পরিবারের দাবি অধিগ্রহণকৃত জমির যথাযথ ক্ষতিপূরণ। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তারা ৯ মাস যাবৎ বিভিন্ন মহলে ধণ্যা দিচ্ছে। স্মারকলিপি দিতে চেয়েও দিতে পারেনি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন তাদের স্মারকলিপি জমা নেয়নি। করুন আত্মনাদ এই দেড়শ পরিবারের। তাদের দাবি এক মূহুর্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ।
যে স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায়নি: হোগলাডাঙ্গা গ্রামের হাফিজউদ্দিন শেখের পুত্র আতিয়ার শেখ, ইউসুফ আলীর পুত্র শেখ কামরুজ্জামান, আর্শাদ আলী শেখের পুত্র রেজাউল শেখ, বারিক শেখের পুত্র কাশেম শেখ ও আব্দুল ওহাব মল্লিকের পুত্র গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবর বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিতে গেলে তারা তা জমা নেয়নি। স্মারকলিপিতে উল্লেখ কারা হয় হোগলাডাঙ্গা মৌজার ৭৯৩, ২০৪, ৬৭৩, ৬২৯, ৬৭৮, ২৩৯, ২০৫, ৬৭২, ৬৮৫ ও ৬৫৯ দাগের জমির মালিকরা সাত ও তিন ধারার নোটিশ পেয়েছে। তাদের সমূদয় সম্পত্তি অধিগ্রহণে অন্তভূক্ত হয়নি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের কথা নোটিশে উল্লেখ নেই। কতটুকু জমি অন্তভূক্ত করা হয়েছে তা তারা অবগত নন। ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কাছে নালিশ করেও কোন ফল হয়নি। যে পরিমাণ অর্থ সরকারি ভাবে দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে নতুন করে জমি ক্রয় ও ঘর-বাড়ি নির্মান সম্ভব হবে না।
মানববন্ধন: খুলনা-মোংলা রেলওয়ে, পীর খানজাহান আলী বিমানবন্দর ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে অধিগ্রহণকৃত জমির যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও তাদের পূর্ণবাসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাজ ও পরিবেশ সুরক্ষা গণকমিশন এর আয়োজক। নাগরিক নেতা এড. কুদরোতে খুদা এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। বক্তৃতা করেন ওর্য়ার্কাস পার্টির নেতা শেখ মফিদুল ইসলাম, সিপিবি নেতা এড. বাবুল হাওলাদার, রসু আক্তার, উন্নয়ন কর্মী লোকমান হাকিম, মাহাবুবুল আলম বাদশা, ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মেরিনা জুথি, শামিমা সুলতানা শিলু, ডাঃ নাছির উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
রামপাল হোগলাডাঙ্গা এলাকার গৃহবধু শাহারুন্নেছা, হাসিনা বেগম, রোজিনা বেগম, কাসেম শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা নগরীতে মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করে সমাজ ও পরিবেশ সুরক্ষা গণকমিশন। দাবি পীর খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকায় অধিগ্রহনকৃত জমি যথাযত ক্ষতিপূরণ। একই দাবিতে রামপালের গোবিন্দপুর, হোগলাডাঙ্গা, ধলধা, দেবীপুর, গোদারডাঙ্গা, কদমদী, বাউন্ডার গ্রামের দেড়শ’ পরিবারের। গেল বছরের জুন থেকে এ দাবিতে পরিবার গুলো মিছিল মিটিং ও সংবাদ সম্মেলন করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিতে গেলেও বাগেরহাট জেলা প্রশাসন তা গ্রহণ করেনি।
গৃহবধু শাহারুন্নেছা। স্বামী রেজাউল শেখ। তার বসতি হোগলাডাঙ্গা গ্রামে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, রামপালের ফয়লায় বিমানবন্দর এলাকায় তার ১৭ শতক জমি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন গতবছরের ২৭ জুন তাকে সাত ধারার নোটিশ দিয়েছে। সরকার তার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে দুই লাখ টাকা। তার দাবি অনুযায়ী হোগলাডাঙ্গা মৌজায় প্রতি শতক জমির মূল্য এক লাখ টাকা। সে অনুযায়ী তিনি তেমন কোন টাকা পায়নি। এ নালিশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের কাছে। তিনি এ ভোটারের দাবির কথা মন দিয়ে শোনেননি। স্বামীর এ পৈত্রিক ভিটের যথাযথ মূল্য আদায়ের লক্ষে রাজধানী ঢাকা ও বাগেরহাটের অনেক স্থানে ধণ্যা দিয়েছেন, ফল হয়নি।
রোজিনা বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুল হালিম মলঙ্গী তার স্বামী। তার জমির পরিমাণ দেড় বিঘা। তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি। ক্ষতিপূরণের দাবিতে তিনিও মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয় বাকি মল্লিকের স্ত্রী হাসিনা বেগম। তার নয় শতক জমির বিনিময় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে দেড় লাখ টাকা। যা তার বসতভিটেত বাড়ি নির্মানের অর্ধেকও নয়।
এ ছাড়া একই গ্রামের কামরুজ্জামান, মাহামুদ মলঙ্গীর, আতিয়ার শেখ, জাবেদ মল্লিক, আজিজুল মলঙ্গীর, শোয়াহিদ মলঙ্গীর, দেলোয়ার মলঙ্গীর, রুহুল আমীনসহ শতাধিক পরিবার জমির কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে ১৯৯৬ সালে রামপালের ফয়লা এলাকায় ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ততকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পীর খানজাহান আলী (রঃ) বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপণ করেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সরকার খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মান প্রকল্প গ্রগণ করে। পরবর্তীতে ৫২৯ দশমিক ৮৫ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। এ বিমানবন্দরের নির্মান ব্যায় ধারা হয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪০ কোটি টাকা। এ বিমানবন্দরের চারিপাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী ও রানওয়ে নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা মহানগর আরও সংবাদ

খুলনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনে মহান বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য র‌্যালী

খুলনায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খুলনা মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা

আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক: শামীম

কুয়েটে ৫ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলিতে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে হবে : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।