চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনার বিএনপি নেতারা বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। সরকারি ষড়যন্ত্র এবং টালবাহানা করে দেশনেত্রীর জামিন পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া থেকে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে ঠেলে দিলে তার পরিণতি সম্পর্কেও ভেবে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে রাজপথেই এর সমাধান খুঁজতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে টালবাহানা না করতে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তার দায় সরকারের উপর বর্তাবে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অবস্থা থেকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে বলে সভা থেকে জোর দাবি জানানো হয়।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে আজকের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফলের লক্ষে নগর ও জেলা বিএনপি’র যৌথ প্রস্তুতি সভায় বক্তারা একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভায় আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের র্যালির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর শনিবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে বিএনপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন। দলীয় কার্যালয়সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন। বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়সমূহে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৭টায় গল্লামারী স্মৃতিসৌধে নগর ও জেলা বিএনপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকেল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ ও পরে শহরে বিজয় র্যালি। নগর ও জেলার দূরবর্তী থানাসমূহে পাশাপাশি অনুরূপ পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করবে দলের সাংগঠণিক কমিটি। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয় সমূহে আলোকসজ্জাকরণ। কর্মসূচি সমূহে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তুজা, জেলার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আঃ জলিল খান কালাম, এড. বজলার রহমান, রেহানা ঈসা, স ম আঃ রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন খোকন, জাহিদ হোসেন, শাহ জালাল বাবলু, গাজী তফসীর আহম্মেদ, এড. আঃ আজিজ, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আঃ রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, কামরুজ্জামান টুকু, মেজবাউল আলম, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, মোঃ শাজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, জালু মিয়া, মুজিবর রহমান, ইউসুফ হারুন মজনু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল হক হেলাল, মাহবুব হাসান পিয়ারু, নাজমুল হুদা সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, ফারুক হিল্টন, এড. এমদাদুল হক হাসিব, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, হাফেজ আবুল বাসার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম, নিঘাত সীমা, সাবিনা ইয়াসমিন, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন ও কওসারী জাহান মঞ্জু প্রমুখ।