খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ ও বিধিবিধান সম্পর্কিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা আজ ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণীত হয়েছে। তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। কোন তথ্য প্রদান করা যাবে, কোন তথ্য প্রদান করা যাবে না- সে বিষয়ে নিজেদের জানতে হবে। নিজেরা যতবেশি জানবো, অপরকেও সেভাবে জানাতে পারবো। তবেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অনেক দেশ টালমাতাল অবস্থায় আছে। অনেক দেশের ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ আজ অনেক দেশের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর প্রধান কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব ও জনগণের স্পৃহা।
উপাচার্য বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী যে অভীষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, তা বাস্তবায়নে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আস্থা জন্মেছে। যার প্রমাণ বিগত বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে পাওয়া যায়। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সম্পন্নের আহ্বান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও তথ্য অধিকার বিষয়ক কর্মপরিকল্পনার ফোকালপয়েন্ট প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এপিএর ফোকালপয়েন্ট ও কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এস এম আবু নাসের ফারুক। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ ও বিধিবিধান সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়ারপয়েন্টে উপস্থাপন করেন লিগ্যাল সেলের সেকশন অফিসার মো. আরিফুর জামান। সভা সঞ্চালনা করেন আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ইঞ্জি. মো. ফারুক হোসেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।