সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার (১৪ জুলাই) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির ১৪তম দিন অতিবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এ কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।
সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে সকল ডিসিপ্লিনের ক্লাস, অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস, মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল ধরনের পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেড এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা-২০২৩ এর প্রত্যয় স্কিম থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যাহার এবং নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে ইউজিসি কর্তৃক সুপারিশকৃত অভিন্ন নীতিমালায় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের ১২ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতি চলাকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিষদের সভাপতি উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপ-রেজিস্ট্রার মো. শহিদুল আলম হাওলাদারের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-রেজিস্ট্রার বেগম সামছুন নাহার শিমুল, মোসাম্মৎ গুলশান আরা, সহকারী রেজিস্ট্রার অলোকা রানী দাস, মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবু, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সানজিদা আক্তার সোমা, সহকারী পরিচালক সাহারা বানুসহ প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল বের করেন। মৌন মিছিলটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়।