খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাবির সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। শুধু ক্লাসরুম নয়, এখানে শিক্ষার অনেক মাধ্যম রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রের চর্চা করে। নিজেদের মত প্রকাশ ও প্রশাসনের কাজের সমালোচনা করার অধিকারও তারা রাখেন। কিন্তু বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা দলীয়বৃত্তি ও চাটুকারীতায় ব্যস্ত। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কন্ঠরোধ করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, খুবির ঘটে যাওয়া ঘটনাটা সত্যিই লজ্জাজনক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এমন নির্লজ্জ ঘটনার জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল মৃধার সঞ্চালনায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব রনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
খুবির গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করায় বাংলা বিভাগের দু’জন ও ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ এনে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা হলেন- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা।